সংক্ষিপ্ত

মাদক পাচার কারবারিদের জন্য ভারতীয় সেনা নয়, এখন মূর্তিমান বিভীষিকা ২ বছরের ছোট্ট একটা প্রাণী। তার নাম ডোটি।
 

ভারত পাকিস্তান সীমান্তে নিশ্ছিদ্র প্রহরা ভারতীয় সেনার। তবে মাদক পাচার কারবারিদের জন্য ভারতীয় সেনা নয়, এখন মূর্তিমান বিভীষিকা ২ বছরের ছোট্ট একটা প্রাণী। তার নাম ডোটি। সে দুবছর বয়সের কালো কুচকুচে ল্যাব্রাডর। তবে বয়সে ছোট হলে কী হবে, তার তেজে থরহরি কম্পমান সীমান্তের মাদক পাচারকারীরা। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী নজরদারি চালানোর অত্যাধুনিক ডিভাইস এবং অন্যান্য সরঞ্জামের মাধ্যমে পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে টহলদারি চালায়। এই মিশনে সেনার বন্ধু দু বছরের ডোটি। সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সমান তালে পা মিলিয়ে সে সীমান্তে নজরদারি চালায়। কোথাও একটু বিচ্যুতি দেখলেই তার চিৎকারে সচকিত হন কর্তব্যরত জওয়ানরা। ধীরে ধীরে ভারতীয় সেনার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে এই দু বছরের ডোটি। 

জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মাদক পাচার চলছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই পুঞ্চ জেলার হামিরপুর এলাকায় মোতায়েন করা হয় ডোটিকে। তার পর থেকেই আশ্চর্যজনক ভাবে কমেছে ওই এলাকায় মাদক পাচারকারীর সংখ্যা। হামিরপুর চেক পয়েন্ট হল ড্রাগ ডিটেকশন সেন্টার। সেখানে বিশেষ অনুপ্রবেশ বিরোধী নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থাটি হল কনসার্টিনা তার দিয়ে ডাবল রো ফেন্স। এই ফেন্স তৈরি হয় ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে। 

এই এলাকায় রয়েছে মোট ৯টি গ্রাম, যার জনসংখ্যা পাঁচ হাজারের ওপরে। এই ভারতীয় গ্রামগুলি সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় পাচারকারীরা এই গ্রামগুলিকেই যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে, ফলে ভারতীয় সেনা ডোটির সাহায্যে গ্রামগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে যেহেতু কুকুরের ঘ্রাণেন্দ্রিয়টি মানুষের থেকে দুহাজার গুণ বেশি শক্তিশালী ও ৫০ গুণ বেশি সংবেদনশীল, তাই স্নিফার ডগগুলি খুব দ্রুত অপরিচিত বা সন্দেহজনক গতিবিধি চিহ্নিত করতে পারে। তাই এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ আউটপোস্টে ডোটিকে মোতায়েন করা হয়েছে। মাদক পাচারকারীদের রুখতে ডোটির মত স্নিফার ডগদের ব্যবহার বেশ কাজে দিয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কোনও ভাবেই ডোটির নজর এড়িয়ে চেকপয়েন্ট পেরিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।