সংক্ষিপ্ত
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। যারা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটাররা সারিতে থাকবেন, তাদের ভোট দেওয়া পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ভোট হবে। যদিও উভয় রাজ্যে ৬০টি করে বিধানসভা আসন রয়েছে, তবে দুই রাজ্যে মাত্র ৫৯টি আসনেই ভোট হবে। নাগাল্যান্ডে একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিকে, ইউডিপি প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে মেঘালয়ের সোহেয়ং বিধানসভা আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভোটের পর মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের পাশাপাশি ত্রিপুরার নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা করা হবে ২ মার্চ। আসুন জেনে নিই দুই রাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত ১০টি পয়েন্ট।
১. ভোট কখন শুরু হবে?
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। যারা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটাররা সারিতে থাকবেন, তাদের ভোট দেওয়া পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নাগাল্যান্ডে, ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৯ টি এসটি শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত, আর একটি সাধারণ আসন। মেঘালয়ে, ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৫ টি আসন এসটির জন্য সংরক্ষিত, আর পাঁচটি আসন সাধারণ শ্রেণীর জন্য।
২. কতজন ভোটার তারা কোথায় ভোট দেবেন?
নির্বাচন কমিশনের মতে, নাগাল্যান্ডে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৬৫১ ভোটার এবং মেঘালয়ে ২১ লাখ ৬১ হাজার ১২৯ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
৩. কতজন মহিলা ভোট দেবেন?
নাগাল্যান্ডের মোট ১৩.০৯ লাখ ভোটারের মধ্যে ছয় লাখ ৫৬ হাজার ৩৫ জন নারী। পুরুষ ভোটার ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৬১৬ জন। একইভাবে, মেঘালয়ে ২১.৬১ লাখ ভোটারের মধ্যে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৩৯৬ জন মহিলা, আর ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৮০১ জন পুরুষ। গত বিধানসভা নির্বাচনে, নাগাল্যান্ডে ৮৬% এবং মেঘালয়ে ৮৭% মহিলাদের ভোট দেওয়া হয়েছিল৷
৪. প্রথমবার কতজন ভোট দেবেন?
নির্বাচন কমিশনের মতে, নাগাল্যান্ডে প্রথমবারের মতো ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৪৯ জন। মেঘালয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৮১ হাজার ৪৪৩ জন ভোটার।
ইস্যুগুলো কি কি?
মেঘালয়ে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে। এবার দলটিকে ক্ষমতাবিরোধী ঢেউয়ের মুখে পড়তে হতে পারে। পার্বত্য এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়া এবারের নির্বাচনের অন্যতম প্রধান বিষয়। দুর্নীতির আরও অভিযোগ এনপিপি সরকারকেও তাড়া করছে। এ ছাড়া জয়ন্তিয়া ও খাসি পাহাড়ে অবৈধ কয়লা খনির বিষয়টিও এবারের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। মেঘালয় নির্বাচনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু খ্রিস্টান এবং অ-খ্রিস্টান। খাসিয়া পার্বত্য এলাকায় এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এনপিপি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ইস্যু নিয়েছে। এনপিপি বলছে, সরকার পাঁচ বছরে অনেক উন্নয়ন করেছে এবং তার ভিত্তিতেই তারা ভোট চাইছে। একই সঙ্গে, এখন পর্যন্ত সরকারের অংশ থাকা বিজেপিও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পরিকল্পনার কথা জনগণের কাছে তুলে ধরছে। মেঘালয় বিজেপির প্রধান আর্নেস্ট মাউরি বলেছেন, রাজ্যে প্রচুর খ্রিস্টান জনসংখ্যা রয়েছে। দলটি নির্বাচনে জিতলে রাজ্যে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেবে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে গরুর মাংস খাওয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
নাগাল্যান্ড বিধানসভার ৬০ জন সদস্যই এখন পর্যন্ত সরকারের অংশ ছিলেন। এখানে কেউ বিরোধী ছিলেন না। গত নির্বাচনে কংগ্রেস এখানে একটি আসনও জিততে পারেনি। এই কারণেই কংগ্রেস এখানে উন্নয়ন, দুর্নীতি, বেকারত্ব সহ সমস্ত ইস্যু তুলছে। অন্যদিকে, বিজেপি এবং সরকারের সাথে জড়িত অন্যান্য দলগুলি উন্নয়ন প্রকল্পের সাহায্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।