সংক্ষিপ্ত
বেঁচে তো আছেনই, একেবারে সুস্থ সতেজও বটে
এমনই এক ২৩ বছরের যুবতীর মৃত্যু সংবাদ দিয়ে পোস্টার
মহিলার দাবি এর পিছনে রয়েছে তাঁর আত্মঘাতী স্বামীর পরিবার
এখনও কি তাড়া করচে সন্তান না হওয়ার ক্ষত
মহিলা দিব্বি বেঁচে আছেন। শুধু তাই নয় একেবারে সুস্থ সতেজ রয়েছেন। অথচ সেই মহিলাকেই মৃত দাবি করে তাঁর স্মৃতিতে পোস্টার পড়ল গোটা জেলা জুড়ে। মহিলার আত্মীয়রা সেই পোস্টার দেখে তাঁর বাড়িতে ফোন করতেই বিষয়টি সামনে এল। আর তারপরই এই বিষয়ে ওই পোস্টার দেওয়া 'অজ্ঞাত পরিচয়' ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ এর পিছনে রয়েছে তাঁর মৃত স্বামীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর পেরামলুর জেলায়। ওই মহিলার নাম রোশনি। শনিবার আকস্মিকভাবেই গোটা জেলা জুড়ে ওই ২৩ বছর বয়সী মহিলার ছবিসহ মৃত্য়ু সংবাদ দিয়ে পোস্টার দেখা যায়। পোস্টার অনুযায়ী ৭ অক্টোবর মৃত্যু হয়েছে রোশনির। স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের শোকবার্তা পেয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন রোশনি এবং তাঁর বাবা-মা ।
পুলিশ জানিয়েছে, স্নাতকের পড়া শেষ করে রোশনি সালেম জেলার কট্টুকোট্টাইগাই গ্রামের বীররাগাবন নামে এক ব্যক্তিকে বিবাহ করেছিলেন। বীররাগাবন বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারী সংস্থায় কাজ করতেন। বিবাহের পর রোশনিও স্বামীর সঙ্গে সেখানেই থাকতেন। কিন্তু, দাম্পত্যে অশান্তি ডেকে এনেছিল সন্তানের অভাব। চেষ্টা করেও সন্তান না হওয়া নিয়ে রোশনি ও বীররাগাবন-এর পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার মতবিরোধও হয়। এই নিয়ে হতাশায় ভুগতেন বীররাগাবন। চলতি বছরের মার্চ মাসে হোসুরের বাড়িতেই তিনি আত্মঘাতি হয়েছিলেন। স্বামীর মৃত্য়ুর পর রোশনি পেরামবালুরে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
শনিবার, রোশনি পোস্টার যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করে পেরামবালুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামীর পরিবারের এর পিছনে হাত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অভিযোগপত্রে। তাঁর আরও অভিযোগ প্রয়াত স্বামীর পরিবার তাঁর ৪০টি গয়না নিয়ে নিয়েছে। স্বামীর মৃত্য়ুর পর থেকেই তারা তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।