সংক্ষিপ্ত

অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) আপার সিয়াং (Upper Siang) জেলা থেকে চিনা পিএলএ-র (Chinese PLA) হাতে অপহৃত কিশোরের খোঁজ মিলল। এই বিষয়ে কী জানালো ভারতীয় সেনা (Indian Army)। 
 

অবশেষে খোঁজ মিলল অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) থেকে চিনা পিএলএ (Chinese PLA) বাহিনীর অপহরণ করা ভারতীয় কিশোরের। রবিবার, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের যে কিশোর তার গ্রাম থেকে 'নিখোঁজ' হয়েছিল, তার খোঁজ পেয়েছে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি। গত বুধবার অরুণাচলের আপার সিয়াং (Upper Siang) জেলা থেকে গত মঙ্গলবার, মিরাম তারন নামে ওই ১৭ বছরের কিশোরকে চিনা পিএনএ বাহিনীই অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই বিষয়ে টুইট করেছিলেন বিজেপি সাংসদ তাপির গাও (Tapir Gao)। 

অসমের (Assam) তেজপুরের (Tezpur) প্রতিরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ আধিকারিক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হর্ষবর্ধন পান্ডে (Lt Col Harshvardhan Pandey) এদিন বলেন, চিনা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতকে জানানো হয়েছে যে, তারা অরুণাচল প্রদেশ থেকে নিখোঁজ কিশোরকে খুঁজে পেয়েছে। তাঁকে এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং তার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। 

আপার সিয়াং জেলা থেকে ওই কিশোরকে চিনা সেনাবাহিনী অপহরণ করেছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই, গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনা, পিএলএ-র সঙ্গে তাদের হটলাইন সক্রিয় করেছিল। নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা বাহিনির এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনা চিনকে জানিয়েছিল, ভেষজ সংগ্রহ এবং শিকার করতে গিয়ে পথ হারিয়েছিল ওই যুবক। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই কিশোরকে খুঁজে বের করে এবং প্রোটোকল মেনে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পিএলএ-র সহায়তা চাওয়া হয়েছিল।

পিএলএ ওই কিশোরকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করলেও, গত বুধবার, অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ তাপির গাও, দ্ব্যর্থহীনভাবে এই ঘটনার পিছনে, পিএলএ-কেই দায়ী করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিককেও (Nisith Pramanik) তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি তাঁর টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও ট্যাগ করেছিলেন। 

অরুণাচলের প্রাক্তন সাংসদ, নিনং এরিং (Ninong Ering) এই বিষয়ে বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি হতবাক। ভারতীয় ভুখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশের এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, বিস্তৃত সীমান্তের অনেক জায়গায় পাহারা দেওয়া হয় না। এর সুযোগে যে অপহরণ এবং অনুপ্রবেশ চলছে, তাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার। 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেও সেপ্টেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবানসিরি জেলায় ম্যাকমোহন লাইনের কাছ থেকে, তনু বকর, প্রসাদ রিংলিং, নাগারু দিরি, ডংটু এবিয়া এবং তোচ সিংকাম নামে পাঁচ যুবককে অপহরণ করেছিল পিএলএ। সেরা-৭ নামে ভারতীয় সেনার এক টহলদারী অঞ্চল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। ওই যুবকরা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মালবাহকের কাজে নিযুক্ত ছিল। দিন কয়েক পর, তাদের ছেড়ে দিয়েছিল বেজিং।