সংক্ষিপ্ত
সব মিলিয়ে যে মুখ পুড়িয়েছে পঞ্জাব সরকার, তা মানছেন সবাই। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যে বিশেষ লাভ হবে না, তাও বোঝা যাচ্ছে।
করোনা (Corona) জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) স্বাগত জানাতে যেতে পারেননি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (Punjab CM) চরণজিত সিং চান্নি (Charanjit Singh Channi)। এমনই দাবি তাঁর। এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের হয়ে সাফাই দিলেন চান্নি। তবে তাঁর দেওয়া এই সাফাইকে কার্যত কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের দাবি করোনার কারণে মোদীকে স্বাগত না জানানো গেলেও সাংবাদিকদের ডেকে জমায়েত করে তা ঘোষণা করা যায়। সেখানে করোনার ভয় থাকে না।
নেটিজেনরা আরও দাবি করেছেন চান্নি নিজের মাস্ক খুলে রেখে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেখানে নিজেই করোনা বিধি ভঙ্গ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে চান্নি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ফিরে যেতে হয়েছে বলে তিনি দুঃখিত। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত সম্মান করেন। তবে, বিক্ষোভের কারণে হুসাইনিওয়ালা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের এক ফ্লাইওভারের উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় প্রায় ২০ মিনিট আটকে থাকার পরও, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি ছিল না।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, রাজ্যের মুখ্য সচিব কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যাননি। তবে সব মিলিয়ে যে মুখ পুড়িয়েছে পঞ্জাব সরকার, তা মানছেন সবাই। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যে বিশেষ লাভ হবে না, তাও বোঝা যাচ্ছে। পঞ্জাব সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। চান্নি সরকারের অপরিণামদর্শিতা ও পরিকল্পনার অভাবের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নিজের সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। এই ভাষাতেই পঞ্জাব সরকারকে বিঁধেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পর্যন্ত প্রত্যেকে সরব হয়েছেন মোদীর পঞ্জাব সফরে ঘিরে বিশৃঙ্খলায়।
স্মৃতি ইরানি টুইট করে লিখেছেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এটি একক বৃহত্তম ত্রুটি। আর পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়ে দিল। ভারতের ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর ঘটেনি। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী মোদী পছন্দ করেনা, কিন্তু আজ তারা প্রধানমন্ত্রী পদের অপমান করেছে।
এদিন এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জনগণের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কায় এই কাজ করেছে। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি বানচাল করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে এদিন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে খেলা হয়েছে।