সংক্ষিপ্ত
প্রথমে ১৯৫ নামের তালিকা প্রকাশ করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে যথেষ্টই পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। আজ দুই দলই বৈঠকে বসতে পারে।
লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা হয়তো আজই প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। একই পথে হাঁটতে পারে কংগ্রেস। কারণ জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে গুঞ্জন এদিনই দেশের প্রধান দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বৈঠকে বসছে। যদিও প্রথমে ১৯৫ নামের তালিকা প্রকাশ করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে যথেষ্টই পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। প্রথম পর্বে কংগ্রেস মাত্র ৩৯ জন প্রার্থীর নামই প্রকাশ করতে পারেছে। এই অবস্থায় এদিন আবার দেশের প্রধান দুই দলের শীর্ষ নেতাদের প্রার্থী বাছাই নিয়ে বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিজেপি সূত্রের খবর এদিন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বৈঠকে বসছেন দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ। বিজেপির একটি অংশ বলছে সব ঠিকঠাক থাকলে আজই দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আগেই এই রাজ্যের ২০টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রাজ্যের বাকি ২২টি আসনের প্রার্থীদের নাম নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কারণ এখনও বিজেপি খড়গপুর, ডায়মন্ডহারবারের মত কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। যদিও প্রথম তালিকায় নাম ছিল না বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। এবার কি দিলীপের নাম থাকবে- তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন সনিয়া গান্ধী বৈঠকে বসবেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে। বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসও দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারে। আলোচনা হতে পরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কেন্দ্র নিয়ে। কারণ এবারও নির্বাচনে অভিষেক হওয়ার কথা প্রিয়াঙ্কার। অন্যদিকে এই রাজ্যের জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা ব্রিগেড থেকেই প্রকাশ করেছেন। তাই এবার কংগ্রেসও হয়তো একলা চলোরে নীতি নিতে পারে। না হলে সিপিএম-এর সঙ্গে জোট করতে পারে। এই অবস্থায় এই রাজ্য নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থানও স্পষ্ট হতে পারে এদিন। কারণ সিপিএম সূত্রের খবর এদিনই জোট নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লি গিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাই কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়েও যথেষ্ট কৌতুহল রয়েছে।