সংক্ষিপ্ত
হাতে আর সময় মাত্র তিন দিন। তারই মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া। রবিবার ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে,দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শুরু হতে পারে। চলতি বছর জুন মাস ছাড়া গোটা বর্ষাকালেই প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।
হাতে আর সময় মাত্র তিন দিন। তারই মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া। রবিবার ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে,দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শুরু হতে পারে। চলতি বছর জুন মাস ছাড়া গোটা বর্ষাকালেই প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দেশের আট রাজ্যে এখনও বর্ষার ঘাটতি রয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছেন ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটটি রাজ্যে বর্ষার ঘাটতি রয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, পঞ্জাব, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুরে তুলনামূলক কম বৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রধান ভৌগলির এলাকা বা দেশের বেশিরভাগ এলাকায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে বৃষ্টি হয়েছে ৮৬৫.৪। যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বেশি।
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। দেশ গোটা বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তার ৭০ শতাংশই হয় এই এই চার মাসে। ভারতেরমত কৃষি প্রধান দেশের কাছে বর্ষাকাল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় খারিপ শস্যের চাষ হয়। জলের মজুদ বৃষ্টি পায়। যা দেশের অর্থনীতির পক্ষে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাহার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ বর্ষা বিদায় নেয় এই সময়টা। দেশের উত্তর পশ্চিম দিক থেকেই শুরু হয় বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া। অধিকাংশ সময়ই রাজস্থান থেকেই শুরু হয় এই প্রক্রিয়া।
রবিবার বিকেলে জারি করা আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম ভারতের নিম্ম ট্রাফোস্ফিয়াররিক স্তরে প্রতিষ্ঠিত অ্যান্টি-সাইক্লোনিক প্রবাহের কারণে আগামী পাঁচ দিন রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে শুরু শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পাওয়া যাবে। সুতরাং আহামী তিন দিনের মধ্যেই উত্তর পশ্চিম ভারতের কিছু অংশ থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহারের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠবে।
বর্ষা শুরুর মতো আইএমডি বর্ষা বিদায়েরও কয়েকটি মানদণ্ড স্থির করে রেখেছে। যাতে বলা হয়েছে সেপ্টেম্বরে যদি উত্তর পশ্চিম ভারতে একটি অ্যান্টিসাইক্লোন তৈরি হয় এই অঞ্চলে টানা পাঁচ দিন বৃষ্টিপাত কমে যায় ও আদ্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় তাহলে তা বর্ষা বিদায়ের লক্ষণ। আর এই অবস্থা তৈরি হলেই মৌসম ভবন বর্ষা বিদায়ের কথা ঘোষণা করবে। বর্ষা প্রত্যাহার সাধারণ একমাস ধরে চলে। অক্টোবরের মাধামাঝি সময় বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নেবে এই দেশ থেকে।
অন্যদিকে আগেই আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছিল এই রাজ্যে মূলত দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু ফিরত যাওয়ার সময় প্রবল বৃষ্টি হয়। সেইমত দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভবনা তৈরি হয়েছে আগামী সপ্তাহে।