সংক্ষিপ্ত
- গাজিপুর সীমানার অদূরে কৃষক মহাপঞ্চায়েত
- কৃষক সমাবেশে উপচে পড়া ভিড়
- একরাতেই জনসমুদ্র বিস্তীর্ণ এলাকা
- সিংহু সীমানায় আবারও হিংসা
এক নেতার চোখের জলে যেন আবারও প্রাণ ফিরে পেল দিল্লির কৃষক আন্দোলন। ২৬ জানুয়ারি রাজধানীতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পরেই ক্রমশই ভিড় কমে যাচ্ছিল আন্দোলনকারী কৃষকদের। অনেকেই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রায় ২ মাসের অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে সরে যাচ্ছিলেন। একর পর এক কৃষক সংগঠনও সরে আসছিল। কিন্তু সেই সময় বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে ভারতীয় কৃষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত। তার তাঁর সেই কান্নার ভিডিও ক্লিপই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই উল্টো ছবি ধরা পড়ে তাঁর ভাইয় নরেশ টিকাইতের ডাকা কৃষক মহাপঞ্চায়েতে জনসমুদ্রে ভাসল দিল্লির গাজিপুর সীমান্ত থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফর নগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর এই সমাবেশের নেতৃত্বে দিচ্ছেন রাকেশ টিকাইত।
স্থানীয় একটি কলেজ মাঠে কৃষক মহাপঞ্চায়েতের সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর এই সভামঞ্চ থেকেই স্থির করা হবে আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ। এই সভায় কৃষকদের ভিড় কিছুটা হলে কৃষক নেতাদের মনোবল যে বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রেখা না। রাকেশ টিকাইটের সঙ্গে এদিন দেখা করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসৌদিয়া। এদিন যোগেন্দ্র যাদব বলেন কৃষকরা ফিরে যাওয়ার জন্য আসেনি।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে ছোটখাট হিসংসার ঘটনা ঘটেছে সিংহু বর্ডারে। আন্দোলনকারী কৃষকদের এলাকা খালি করতে বলে স্থানীয়দের একটি দল। সেই দলে ছিল প্রায় ২০০ জন্য। তারা আন্দোলনকারী কৃষকদের লক্ষ্য করে ইঁট পাছর ছুঁড়তে থাকে। আন্দোলকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায়। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয় পুলিশকে। দুই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে । এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।