পুলিশ লকআপে গণধর্ণের অভিযোগ খুনে অভিযুক্ত এক মহিলাকে নির্যাতন কাঠগড়ায় পাঁচ পুলিশ কর্মী তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
মধ্য প্রদেশে পুলিশ লকআপে গণধর্ষণের অভিযোগ। এক মহিলাকে থানায় আটকে রেখে টানা দশ দিন ধরে স্টেশন ইনচার্জ ও তার পাঁচ সহযোগী ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই নারী নির্যাতনের ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্য প্রদেশের রেওয়া জেলার মাঙ্গাওয়ানের পুলিশ লকআপ। গত মে মাসে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ২০ বছরের নির্যাতিতা। গত ১০ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা জজ ও আইনজীবীদের একটি দল কারাগার পরিদর্শনে গেলে তাঁদের সামনেই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়।
মধ্যপ্রদেশের নির্যাতিতা খুনের আসামী। বর্তমানে তাকে রাখা হয়েছে জেল হেফাজতে। ১০ অক্টোবর আইনজীবীদের দলের সামনে নির্যাতিতা মহিলা বিস্ফোরক অভিযোগটি করে।তারপরই জেলা জজ বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে রেওয়া জেলার পুলিশ সুপারকেও একটি চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর সেই চিঠির উত্তর রেওয়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ তাকে গণ ধর্ষণ করা হয়েছে ৯-২১ মে-র মধ্যে। কিন্তু খাতাকলমে দেখা যাচ্ছে যে মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২১ মে।
নির্যাতিত মহিলার অভিযোগ তাকে ১০ অক্টোবর পুলিশ লকআপে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই সময় কর্তব্যরত মহিলা কনস্টেবল বাধা দিতে গেলে তাঁকে কটা করা হয়। আইনজীবীদের দলটি তাঁকে জিজ্ঞাসা করে কে সে এই ঘটনা এতদিন পরে জানাচ্ছে। নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছে, তিন মাস আগেই সে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছিল ওয়াডেনকে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের সনাক্তও করেছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা তাকে হুমকি দিয়েছে আর খুনের ঘটনায় পরিবারের বাকি সদস্যদের জড়িয়ে দেবে বলেও জানিয়েছিল। তাই সে মুখ বন্ধ রেখেছিল। অন্যদিকে ওয়াডেনও জানিয়েছেন মহিলা তাঁকে ধর্ষণের কথা বলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আইনজীবীরা সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আর তাতেই সামনে আসনে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
