সংক্ষিপ্ত

  • দেহ বদল ঘিরে উত্তাল মুম্বইয়ের হাসপাতাল
  • এক রোগীর দেহ দেওয়া হল অন্য রোগীর পরিবারকে
  • পোস্টমর্টেম করার সময় ঘটে গেল দেহ বদল
  • বিক্ষোভ সামলাতে ময়দানে নামতে হল পুলিশকে

করোনা সংক্রমণে দেশের মোট মৃত্যুর ৩৭ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। কার্যত বেলাগাম সংক্রমণে দিশেহারা মারাঠা রাজ্য। আর এরমধ্যেই দেশের বাণিজ্য রাজধানীর এক পুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল দেহ বদলের অভিযোগ। ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মৃত রোগীর দেহ অন্য এক পরিবারের হাতে তুলে দেয়। বিষয়টি সামনে আসতেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন  রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ২৬ বছরের ওই রোগীর পরিজনদের আরও অভিযোগ, পোস্টমর্টেমের সময় তাঁর কিডনিটিও বার করে নেওয়া হয়েছিল। 

 

 

গত রবিবার মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক মিউনিসিপল জেনারেল হাসপাতালে দেহ বদলের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই দায়িত্ব থাকা দুই হাসপাতাল কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপল কর্পোরেশন। এই ঘটনার দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বিএমসি। তবে দেহ থেকে কিডনি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মানতে চায়নি পুর কর্তৃপক্ষ। 

আরও পড়ুন: 'আত্মনির্ভর ভারত মানে নিজের জীবন নিজে বাঁচান', প্রধানমন্ত্রীর ময়ূর প্রীতি তুলে সংসদের প্রথম দিনেই তোপ রাহুলের

রবিবার সিওন হাসরাতালের তরফে অঙ্কুশ সার্বাদীর দেহ আরেক রোগী হেমন্ত দিগম্বরের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অঙ্কুশ। বিএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ আগস্ট পথদুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অঙ্কুশ। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল তাঁকে। রবিবার সকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। 

আরও পড়ুন: ফের দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৯০ হাজারের উপরে, এবার মোট আক্রান্ত ৪৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল

এদিকে ১২ আগস্ট হেমন্ত দিগম্বরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। দুটো দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়। সেখানেই দেহ বদলের ঘটনা ঘটে। হেমন্ত দিগম্বরের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় অঙ্কুশ সার্বাদীর দেহ। এই নিয়ে সরকারি কাগজে স্বাক্ষরও করে হেমন্তের পরিবার। করা হয় অন্তিম সংস্কারও। কিন্তু ঝামেলা বাঁঝে অঙ্কুশ সার্বাদীর পরিবার দেহ নিতে এলে। দেহ বদলের ঘটনায় এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।