সংক্ষিপ্ত

খুনের আসামী একটি লজে নিভৃতে তার বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাল- এমনই আবাক করার মত ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকের একটি লজে। আর এই ব্যবস্থা করেছিল খুনের আসামীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। 

খুনের আসামী একটি লজে নিভৃতে তার বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাল- এমনই আবাক করার মত ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকের একটি লজে। আর এই ব্যবস্থা করেছিল খুনের আসামীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে প্রশাসনের। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দ্রুত অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের গ্রফেতরা করা হয়েছে। 

খুনের আসামীর নাম বাচ্চা খান। হত্যা মামলার ট্রায়াল চলছিল। সেই জন্য আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। আদালতে হাজিরার পর পুলিশ তাকে একটি লজে থাকার অনুমতি দেয়। সেই সময়ই তার বান্ধবীকে সেই লজে আসার কথা বলে। তারপর দুজনকে একটি রুমে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে দেয় আইনের রক্ষকরাই। সূত্রের খরব বাচ্চা খান যখন  লজের রুমে নিভৃতে বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিল তখন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে তাদের পাহারা দিচ্ছিল। 

সূত্রের খবর বেঙ্গালুরুর বান্ধবী বাচ্চা খানের বান্ধবী লজের একটি রুম নিজের নামে বুক করেছিলেন। সেই রুমেই পুলিশ কর্মীরা বাচ্চা খানকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিদ্যাগিরির পুলিশ ওই লজে অভিযান চানায় তখনই সামনে আসে আসল তথ্য। 

পুলিশ বাচ্চা খানকে তাদের হেফাজতে নেয়। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।  ইরফান ওরফে ফল ইরফান হত্যা মামলায় হুব্বলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাচ্চা খানকে। ২০২০ সালে অগাস্টে সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার জেরে খুন করা হয়েছিল ইরফানকে। পুলিশের অনুমান  এই মামলায় বাচ্চা  খান ছিল মাস্টার মাইন্ড। 

যাইহোক একজন খুনের আসামীকে শুনানির পর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলেই নিয়ে যাওয়ার প্রথা রয়েছে। সেখানে পুলিশ কর্মীরা কী করে এই পদক্ষেপ নিল  তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছে বাচ্চা খান প্রভাব কাটিয়ে এই ব্যবস্থা করেছে। যার সঙ্গে ।যুক্ত রয়েছে তার বান্ধবীও। এই ঘটনায় কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে  তদন্তকারীরা।