সংক্ষিপ্ত
উত্তরপ্রদেশের বিলাসপুরের এই বিজেপি বিধায়ক বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা কেবল খাওয়া-দাওয়া করে এবং সন্তান উৎপাদন করে। শিক্ষা বা তাদের সন্তানদের উন্নতি কখনই তাদের অগ্রাধিকার ছিল না।
বোমা ফাটালেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী (Uttar Pradesh Minister) বলদেব সিং আউলাখ(Baldev Singh Aulakh)। মুসলিম সম্প্রদায়কে (Muslim community) নিয়ে তার মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার জলশক্তি মন্ত্রী বলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা কেবল সন্তান তৈরি করতে জানে (how to produce children)। উত্তরপ্রদেশের বিলাসপুরের এই বিজেপি বিধায়ক বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা কেবল খাওয়া-দাওয়া করে এবং সন্তান উৎপাদন করে, শিক্ষা বা তাদের সন্তানদের উন্নতি কখনই তাদের অগ্রাধিকার ছিল না।
মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১-এ বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে মোদী মন্ত্রিসভার সমালোচনা করা সমাজবাদী পার্টির নেতাদের লক্ষ্য করে আওলাখ বলেন, “এসপি পৃষ্ঠপোষক মুলায়ম সিং 'লড়কো সে গালতি হো যাতি হ্যায়'-এর মতো বিবৃতি দিয়েছিলেন। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য এই ধরণের মন্তব্য যারা করে, তাদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়। তিনি সেই সব রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা করেন যারা মহিলাদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
এর আগেও মুসলিমদের সন্তান উৎপাদন প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের একাধিক মন্ত্রী নেতা। মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য সাধ্বী প্রাচী। তাঁর দাবি ছিল দেশের মুসলমানরা যত খুশি বিয়ে করুন, একাধিক স্ত্রী থাকুক তাঁদের। কিন্তু দুটির বেশি সন্তান যেন তাঁরা নিতে না পারেন। এরকমই আইন দেশে প্রয়োগ করা উচিত বলে মত তাঁর। তিনি বলেন নির্দিষ্ট এক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যই দেশের জনসংখ্যা এই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ম দ্রুত বন্ধ করা উচিত। সংসদে আইন করে এই প্রথা তুলে দেওয়া উচিত সরকারের। কোনও ভাবেই কোনও দম্পতির, বিশেষ করে মুসলিমদের দুটির বেশি সন্তান যেন না হয়।
তাঁর আরও দাবি ছিল যেসব ব্যক্তির দুটির বেশি সন্তান রয়েছে, তাঁদের ভোটাধিকার তুলে নেওয়া উচিত। তবেই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এরই সাথে লাভ জিহাদ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য হিন্দু পরিবারের মেয়েদের রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন আনতে হবে, যাতে কোনওভাবেই অন্য সম্প্রদায়ে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে না হয়।
সূত্রের খবর, হিন্দুদের মধ্যে যেখানে জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ, সেখানে মুসলিমদের মধ্যে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এই হিসেব ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে করা হয়েছে। ফলে উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে হিন্দু কম জনসংখ্যা নিয়ে সুখে রয়েছে, সেখানে মুসলিমদের মধ্যে দারিদ্রতা বাড়ছে। শিক্ষার হার কম। জীবন ধারণের মান অত্যন্ত অনুন্নত।