সংক্ষিপ্ত

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী চিন ও পাকিস্তানের নাম না নিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও আশ্রয় দেওয়া ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন। 

অনলাইনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব প্রতিবেশী দেশকে আরও ভালো সহযোগিতা ও সমন্বয়ের জন্য আবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমরা এসসিওকে বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে নয়, একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবে দেখি।" এদিন তিনি বলেন, "নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব এবং পরিবেশ সুরক্ষা হল SCO-তে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মূল স্তম্ভ।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের এই সামিটের প্রতিপাদ্য'। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী চিন ও পাকিস্তানের নাম না নিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও আশ্রয় দেওয়া ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যেএই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সুসম্পর্কের কোনও স্থান নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কিছু দেশ তাদের নীতির একটি হাতিয়ার হিসেবে ক্রস-বর্ডার সন্ত্রাসকে ব্যবহার করে। তারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। এই ধরনের দেশগুলোর সমালোচনা করতে SCO-এর দ্বিধা করা উচিত নয়।" তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য একটি বড় হুমকি রয়ে গেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সন্ত্রাস যে আকারেই হোক না কেন, তা যেভাবেই প্রকাশ করুক না কেন, এর বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন আমরা একসাথে বিবেচনা করি যে আমরা একটি সংগঠন হিসেবে আমাদের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম কিনা? আমরা কি আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব? "

মোদী বলেন, "SCO-এর চেয়ারম্যান হিসেবে, ভারত আমাদের বহুমুখী সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা এই সমস্ত প্রচেষ্টা দুটি নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছি। প্রথম- 'বসুধৈব কুটুম্বকম' অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ব এক পরিবার। এই নীতিটি প্রাচীনকাল থেকে আমাদের সামাজিক আচরণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আধুনিক সময়ে এটি আমাদের অনুপ্রেরণা এবং শক্তির উৎস। দ্বিতীয়- নিরাপত্তা মানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরিবেশগত সুরক্ষা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত এবং আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে শতাব্দীর পুরনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। গত দুই দশকে আমরা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছি। ২০২১ সালের ঘটনার পরেও আমরা মানবিক সাহায্য পাঠাচ্ছি। " প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে আফগানিস্তানের ভূমি প্রতিবেশী দেশগুলিতে অস্থিতিশীলতা ছড়াতে বা চরমপন্থী মতাদর্শকে উত্সাহিত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।