সংক্ষিপ্ত
১০ বছর আগে ভারতে শুরু হওয়া ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) এই সমস্ত পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালের ১ জুলাই চালু করেছিল।
নয়াদিল্লি: আজকের বিশ্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ছাড়া উন্নতি অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ১০ বছর আগে ভারতে শুরু হওয়া ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) এই সমস্ত পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালের ১ জুলাই চালু করেছিল। ১০ বছর পর, ডিজিটাল অগ্রগতিতে ভারতের (Digital India News) সাফল্য অস্বীকার করা অসম্ভব।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লক্ষ্য:- ডিজিটাল বিভাজন কমানো:- প্রযুক্তিপ্রেমী ব্যক্তিদের সঙ্গে যাদের ডিজিটাল সুবিধা কম, তাদের মধ্যকার পার্থক্য দূর করা। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি: শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা: প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও উন্নত সমাধান ব্যবহার করে সারাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে চালিত করা।জীবনমান উন্নয়ন: প্রযুক্তির কৌশলগত ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের সামগ্রিক জীবনমান উন্নত করা।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পরিষেবাসমূহ- ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক: দেশজুড়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ সম্প্রসারণ। মোবাইল সংযোগের বিস্তার: প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। পাবলিক ইন্টারনেট এক্সেস প্রোগ্রাম: সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান ও ডিজিটাল শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। ই-গভর্নেন্স: সরকারি পরিষেবাগুলোকে আরও কার্যকর, স্বচ্ছ ও নাগরিক-বান্ধব করা। মাইগভ: নাগরিকদের প্রশাসনিক ও নীতিগত আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান।
এছাড়াও ইলেকট্রনিক উৎপাদন: স্থানীয় প্রযুক্তি শিল্প বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমদানি নির্ভরতা কমানো। আইটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট: যুবকদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আইটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। ডিজিটাল লকার: গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুবিধা। ভবিষ্যৎ ডিজিটাল সেবা: অনলাইনে স্কুল সার্টিফিকেট, ডিজিটাল হাজিরা, পাবলিক ওয়াই-ফাই ইত্যাদি। আধার: ভারতের নাগরিকদের জন্য ১২ ডিজিটের অনন্য বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র ব্যবস্থা।
ভারতনেট: গ্রামীণ অঞ্চলে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিস্তৃত করার একটি উদ্যোগ। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া: উদ্যোক্তাদের সহায়তা, তহবিল ও দিকনির্দেশনা প্রদান।
e-NAM: কৃষকদের জন্য অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। BHIM UPI:- স্মার্টফোনের মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন। e-Sign:- ডিজিটাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে নথিপত্রের অনলাইন অনুমোদন ব্যবস্থা। ই-হাসপাতাল:- ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা, অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও মেডিকেল রেকর্ড অ্যাক্সেস।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য:- ২০২৫ সালের মধ্যে ৪০% জনগণের জন্য ৫জি অবকাঠামো তৈরি। ডিজিটাল সাক্ষরতার হার ৩৪% থেকে ৫০% করা। ২০২৬ সালের মধ্যে সাইবার অপরাধ ৫০% হ্রাস করতে কার্যকর আইন বাস্তবায়ন। ডিজিটাল ইন্ডিয়া শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, এটি এক নতুন ডিজিটাল বিপ্লব যেখানে প্রত্যেক ভারতীয়র অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।