সংক্ষিপ্ত
২৪ ঘন্টা আগেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। আর রাত পোহাতেই দুজনের হাসিমাখা মুখের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে।
কংগ্রেস ছেড়ে ইতিমধ্যেই নতুন দল গঠন করেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন প্রাক্তন দল কংগ্রেসকে। সেই ভয়েই কি ঐক্যের ছবি সামনে আনল পঞ্জাব কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠছেই। কারণ ২৪ ঘন্টা আগেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নির(Punjab Chief Minister Charanjit Singh Channi) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু (state Congress president Navjot Singh Sidhu)। আর রাত পোহাতেই দুজনের হাসিমাখা মুখের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে।
এখানেই শেষ নয়, সিধু ও চান্নি দুজনেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে তারা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবেন। একে অপরকে সবরকম সাহায্য করবেন। পঞ্জাবে আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ছবি পঞ্জাব কংগ্রেসের ঘর গোছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ছেড়ে জোর ধাক্কা দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
ভোটের আগে অমরিন্দর জুজু দেখছে কংগ্রেস। কারণ রাজ্য কংগ্রেসের বর্তমান প্রধান নভজ্যোৎ সিং সিধুর সঙ্গে দীর্ঘ বিবাদের পর এক মাস আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তারপর থেকে ধীরে ধীরে কমিছিল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। ক্যাপ্টেন ঘনিষ্টরা তখনই জানিয়েছিলেন তিনি নতুন দল তৈরি করে নির্বাচনে লড়াই করবেন।
অন্যদিকে ক্যাপ্টেন মুখে বলেছিলেন দল ছাড়লে কংগ্রেসে যেমন তিনি ফিরবেন না তেমনই বিজেপিতেও যাবেন না। সূত্রের খবর বিজেপির সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রাখতে ক্যাপ্টেন। আগামী বছর পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের পর উপযুক্ত দাবিদাওয়া আদায় করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনের পরকল্পনা করছেন ক্যাপ্টেন। যদিও এদিন সনিয়াকে লেখা চিঠিতে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথার ওপরেই বেশি জোর দিয়েছেন।
সেই দিকে নজর রেখেই এবার কংগ্রেসের ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগী চান্নি ও সিধু। চান্নির সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরোনোর সময় সিধু জানান অল ইস ওয়েল অর্থাৎ সব ঠিক রয়েছে। এই সিধুই অবশ্য চান্নির কড়া সমালোচনা করেছিলেন ২৪ ঘন্টা আগে। সোমবারই রাজ্যে ইউনিট প্রতি ৩টাকা করে বিদ্যুত বিল কম করার সিদ্ধান্ত নেয় মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নির সরকার। এই সিদ্ধান্তকেই তুলোধনা করেন সিধু। ভোটের আগে সাধারণ মানুষকে ললিপপ ধরাচ্ছে রাজ্য সরকার, কার্যত এই ভাষাতেই চান্নি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন সিধু। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানান যাতে উন্নয়ন দেখে তবেই ভোট দেওয়া হয়। কোন এলাকায় কি কি উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তা যেন নজরে রাখেন সাধারণ মানুষ। ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া কোনও প্রলোভনে পা না রাখতে সিধু অনুরোধ করেছেন। নিজেরই দলের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়েছিল পঞ্জাব কংগ্রেস।