সংক্ষিপ্ত

 

  • যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর শুরু হয়েছে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া
  •  অসমের কোকরাঝাড় জেলার বিষমুড়িতে এনডিএফবি (এস) এর প্রথম শিবির
  •  রবিবার থেকে এই শিবিরে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে শান্তিকামী জঙ্গিরা
  •  প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫০ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল এই শিবিরে
     

যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর শুরু হয়েছে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া। অসমের কোকরাঝাড় জেলার বিষমুড়িতে এনডিএফবি (এস) এর প্রথম শিবির স্থাপন করা হয়েছে । গত রবিবার থেকে এই শিবিরে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে শান্তি আলোচনার উদ্দেশে আসা শান্তি আলোচনাকামী  গোষ্ঠীর সদস্যরা । প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫০ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল এই শিবিরে। 

আজ বুধবার  আবার ভারত-ভূটান সীমান্তের জঙ্গলে নিজেদের গোপন ডেরা ছেড়ে প্রায় ৬০০ জন এনডিএফবি (এস) সদস্য বেরিয়ে আসে এই শিবিরে যোগ দিতে। বি বাথা ,বি  ফারেঙ্গা ও সাউড়াইগার নেতৃত্বে সারাইবিল থানার অন্তর্গত ভারত-ভূটান সীমান্তের রাঙাপাড়ায় তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। এদের একত্রিত করে পুলিশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তায় বিষমুড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর থেকেই এনডিএফবি(এস) আলাদা বোড়োল্যান্ডর দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত। আন্দোলন চলাকালীন তারা বহু হত্যা ও অপহরণ সংগঠিত করেছে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সদর্থক সংকেত পাবার পরই তারা জঙ্গি আন্দোলন ছেড়ে আলোচনার রাস্তায় নেমে এসেছে। নেতৃত্বের দাবি, খুব শীঘ্রই বোরো জনজাতির রাজনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিত হবে  আর আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব। 

আমরা এই শান্তি আলোচনার ওপর ভরসা রাখছি। এই আলোচনায় বিদায় ও ব্যথা সহ সমস্ত গোষ্ঠী যোগ দেবে। আরও জানা যাচ্ছে যে, তারা খুব শীঘ্রই গুয়াহাটিতে সরকারের কাছে অস্ত্র সমেত আত্মসমর্পণ করবে। এখানেই থেমে থাকবে না প্রক্রিয়া। সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো পূরণ করার আহ্বান জানাবে এই দল। তাদের দাবি সমূহের মধ্যে অন্যতম  হলো  পুনর্বাসন ও বোরো  টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল  বাতিল করে প্রস্তাবিত বোরো ল্যান্ডকে  ইউনিয়ন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলে  রূপান্তরিত  করা। এখন দেখবার বিষয়, এটাই যে এতো দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন এই শান্তি আলোচনার মধ্যে দিয়ে কত তাড়াতাড়ি ফলপ্রসূ হয়।