সংক্ষিপ্ত

মার্চ মাসের শুরুতে জাপানে ছুটি কাটাচ্ছিলেন এই ভারতীয় ব্যবসায়ী।  তখনই তাঁর পকেটে ২৫ গ্রাম মাদক পেয়েছিল কাস্টমস-এর উচ্চপদস্থ কর্মীরা।

নেস ওয়াদিয়াকে দুই বছরের জন্য কারাবাসের  শাস্তি দিল জাপানে সরকার। মার্চ মাসের শুরুতে জাপানে ছুটি কাটাচ্ছিলেন এই ভারতীয় ব্যবসায়ী।  তখনই তাঁর পকেটে ২৫ গ্রাম মাদক পেয়েছিল কাস্টমস-এর উচ্চপদস্থ কর্মীরা। 

ওয়াদিয়া গ্রুপের কর্ণধার, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের অন্যতম  মালিক নেস ওয়াদিয়াকে দুই বছরের জন্য কারাবাসের  শাস্তি দিল জাপানে সরকার। মার্চ মাসের শুরুতে জাপানে ছুটি কাটাচ্ছিলেন এই ভারতীয় ব্যবসায়ী। জাপানের উত্তর প্রান্তে চিটোস বিমানবন্দরে তাঁর পকেটে ২৫ গ্রাম মাদক পেয়েছিল কাস্টমস-এর উচ্চপদস্থ কর্মীরা। সেই ঘটনার জেরেই  তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করল জাপান সরকার। 

যদিও সাপ্পোরো কোর্ট থেকে শিল্পপতি নুসল ওয়াদিয়ার ছেলে নেসের এই সাজাকে পাঁচ বছরের জন্য মুলতুবি রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এই পাঁচ বছর সময়ে কোনও জাপানি আইন না ভাঙলে, তাঁকে জেলে যেতে হবে না।


ওয়াদিয়া গ্রুপের  মুখপাত্র একটি মেল বার্তায় জানিয়েছেন, "নেস এখন ভারতেই রয়েছেন। জাপানের আদালত স্বপ্রণোদিত ভাবেই মুলতুবিমূলক রায় দিয়েছে। কোনও আইনভঙ্গ না করলে নেস বহাল তবিয়তে
নিজের কাজ করে যেতে পারবেন।

১৯৯৭ সালে নেস ওয়াদিয়া প্রথম ব্যাবসায়ীমহলে পরিচিত হন। তাঁকে ন্যাশানল পারঅক্সাইডের বোর্ডে নিয়ে আসেন বাবা  নুসল ওয়াদিয়া। দুই দশক পেরিয়ে আজ প্রায় ১১ টি সংস্থার প্রধান মুখ তিনি। তাঁর মধ্যে রয়েছে ব্রিটানিয়া, বোম্বে ডাইয়িং-এর মতো সংস্থাগুলি।


প্রসঙ্গত জাপানের ড্রাগ আইন খুবই কঠোর। অপরাধীর ন্যুনতম সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে মুলতুবিমূলক শাস্তি ঘোষণা করা হয়। নেসের ক্ষেত্রেও তাইই হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত তাঁর শাস্তির খবরে  উল্লেখযোগ্য ভাবে শেয়ার পড়তে শুরু করেছে বোম্বে ডাইং, ব্রিটানিয়ার মতো সংস্থাগুলির। গত মঙ্গলবার বোম্বে ডাইং-এর শেয়ার পড়েছে ১৭.৬ শতাংশ, ব্রিটানিয়ার ৩.১ শতাংশ।


জাপানের নাকোটিক দফতর শুধুমাত্র চিকিৎসার স্বার্থে আগাম অনুমোদন ছাড়া কোনও মাদক নিয়ে জাপানে প্রবেশে অনুমোদন দেয় না। সেই আইনই ভেঙেছেন নেস। জাপানের হোক্কাইদো বেড়াতে যাওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরে জাপানের কাস্টমস কর্মীরা।

প্রসঙ্গত বুধবার ব্রিটানিয়ার বার্ষিক মিটিং। সূত্রের খবর, শেয়ারে ধ্বস রুখতে, সংস্থার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ১৬৪ নং ও ১৬৭ নং ধারা অনুযায়ী নেসকে ডিরেক্টর পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হতে পারে। যদিও সংস্থার মুখপাত্র বলছেন এই শাস্তির কোনও প্রভাব নেসের কাজের জগতে পড়বে না।