সংক্ষিপ্ত

ভারতের জনগণেকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে চিঠিটি। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধীদের বয়কট অগণতান্ত্রিক। তাদের এই মনোভাবে অগণতান্ত্রিক মনোভাবও স্পষ্ট হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই দাবিতেই কংগ্রেস -সহ ১৯টি রাজনৈতিক দল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত অনড়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টও আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আগামী ২৪ মে অর্থাৎ রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনেরহ কথা। যদিও এখনও সরকার ও বিরোধী নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে। এই অবস্থায় বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন দেশের ২৭০ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা-সহ বিশিষ্টরা। তাঁর চিঠি লিখে সই করে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেই তালিয়া রয়েছে ১৭৮ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ১০ জন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ও ১০০ জন প্রাক্তম সেনা কর্তা। এছাড়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের ৮২ জন শিক্ষাবিদ।

চিঠির বিষয়ঃ

ভারতের জনগণেকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে চিঠিটি। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধীদের বয়কট অগণতান্ত্রিক। তাদের এই মনোভাবে অগণতান্ত্রিক মনোভাবও স্পষ্ট হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সত্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, এক বিনিয়ম ভারতীয়কে সঙ্গে করে নেওয়ার অভিপ্রায় সকলকেই মুগ্ধ ররেছে। কিন্তু বিরোধীরা একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে অপ্রতীকর হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে থাকেন। তবে বিরোধীরা ফ্যামিলি ফার্স্ট ব্র্যান্ডের রাজনীতির প্রচার করছে। তারা এটা পছন্দ করছে নায এই কারণেই বিরোধীরা একত্রিত হয়ে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

খোলা চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, যারা প্রধানমন্ত্রীর নতুন সংসদভবন উদ্বোধন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা এখনও বুঝতে পারছে না তারা কী করে দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা নিজেদের ফর্মুলায় অগণতান্ত্রিক পথে চলছে। তারা ভিত্তিহীন পথে বয়কট করছে।

বিরোধীরা সর্বদা বয়কট অনুষ্ঠান বয়কট করে

অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, সংসদে সাম্প্রতীক নির্দলীয় অনুষ্ঠান বিরোধীরা কতবার বয়কট করেছে তার তালিকা মনকে বিচলিত করে। ২০১৭ সালে কংগ্রেস পার্টি জিএসটি চালু করতে সংসদের মধ্যরাতের অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০২০ সালে রাজ্যসভার ৮ জন সদস্যকে তাদের আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হলে বিরোধীরা অধিবেসন বয়কট করেছিল একজোট হয়ে। ২০২১ সালে বিরোধীদের সঙ্গে কংগ্রেসও সংবিধান দিবস বয়কট করেছিল।

বিশিষ্টরা চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, বিরোধীরা প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সাইডলাইন করতে ব্যস্ত। ২০২৩ সালে সংসদে তাঁর ভাষণ বয়কট করেছিল বিরোধীরা। সম্প্রতি ১৩ টি বিরোধী দল স্পিকারের প্রথাগত চা-এর বৈঠকই বয়কট করেছিল মার্চ মাসে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদ ভবন উদ্বোধন গোটা দেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রেক্ষাপটে, এটি একটি অত্যন্ত হতাশার বিষয় যে কংগ্রেস দল, যারা নিজেদেরকে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে, তারা অপ্রয়োজনীয় অপব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই শতাধিক স্বাক্ষর সম্বলিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা ভারতের সচেতন নাগরিকরা বিরোধী দলগুলোর অগণতান্ত্রিক ও শো-অফের নিন্দা জানাই। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁরা।