সংক্ষিপ্ত

অভিযুক্ত মিনহাজ আহমেদ জম্মু ও কাশ্মীরের দুই আল কায়েদা জঙ্গির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গি হয়। এই ব্যক্তি আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন এজিএইচ (আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ) এর জন্য সদস্যদের নিয়োগ এবং নাশকতামূলক কার্যকলাপ করার জন্য হাত মিলিয়ে ছিল। 

উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) আইইডি বিস্ফোরণ (IED Blast) ঘটানোর ষড়যন্ত্রে পাঁচ আল-কায়েদা অপারেটিভের (Five Al-Qaeda Operatives) বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA Files Chargesheet)। পাঁচই জানুয়ারি (5th January) এই চার্জশিট পেশ করা হয়। যে পাঁচ জনের নাম চার্জশিটে রয়েছে তারা প্রত্যেকেই লখনউয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তারা হল মুসিরুদ্দিন, মিনহাজ আহমেদ, শাকিল, মুস্তাকিম ও মহম্মদ মইদ। 

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, প্রধান অভিযুক্ত মিনহাজ আহমেদ ও মাশিরুদ্দিন ওরফে মুশির প্রায় দেড় বছর আগে তাদের আল কায়দা হ্যান্ডলারদের সংস্পর্শে এসেছিল। এরমধ্যে মিনহাজ আহমেদ ছিল রীতিমতো সুশিক্ষিত। তার একটি ডিপ্লোমাও ছিল। একসময় তিনি একটি গবেষণাগারে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করত, পরে নিজেই একটা ব্যাটারির দোকান খুলে বসেছিল। 

পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে আল কায়দা হ্যান্ডলাররা ১৫ অগাস্টের আগে মিনহাজদের, সাধারণভাবে পাওয়া যায় এমন সব উপাদান দিয়ে বোমা বানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্ত মিনহাজ আহমেদ জম্মু ও কাশ্মীরের দুই আল কায়েদা জঙ্গির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গি হয়। এই ব্যক্তি আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন এজিএইচ (আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ) এর জন্য সদস্যদের নিয়োগ এবং নাশকতামূলক কার্যকলাপ করার জন্য হাত মিলিয়ে ছিল। 

মুসিরুদ্দিনকে আল-কায়েদার দলে নিয়োগ করেছিল মিনহাজ। তাকে উত্তরপ্রদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে নির্দেশ দিয়েছিল। মুসিরুদ্দিন এবং মিনহাজ আহমাদ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক সামগ্রী সংগ্রহ করেছিল। বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। অভিযানে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল দুটি প্রেসার কুকার বোমা, একটি টাইম বোমা এবং বিশাল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক। সেইসঙ্গে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি-ও পাওয়া গিয়েছিল। 

তাতে দেখা গিয়েছিল, বোমা তৈরির জন্য পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং ফসফরাস ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ফসফরাস জোগাড় করা কঠিন বলে, আল কায়দা হ্যান্ডলাররা, ধৃত জঙ্গিদের দেশলাই কাঠি থেকে ফসফরাস সংগ্রহ করতে বলেছিল। অপর তিন অভিযুক্ত শাকিল, মুস্তাকিম এবং মোহাম্মদ মঈদ, মিনহাজ এবং মুসিরুদ্দিনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহে সহায়তা করত।  

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের যে বাড়িটি থেকে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়, সেই বাড়িটি শাহিদ নামে এক ব্যক্তির। দীর্ঘদিন ধরেই এটিএস এই বাড়িটির দিকে নজর রাখছিল। এই বাড়িতে আসা-যাওয়া করা অনেকেরই কার্যকলাপ ছিল অত্যন্ত সন্দেহজনক। বিশেষ করে ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তির উপর কড়া নজর ছিল এটিএস কর্তাদের। এই সকল ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ।