সংক্ষিপ্ত

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান গাজারিয়াকে পুলিশ তলব করার পরই বিজেপির স্থানীয় নেতাদের নিশানায় পড়তে হয়েছে শিবসেনাকে। শিবসেনাকে ভন্ড বলেও তোপ দেগেছে বিজেপি অনুগামীরা। কারণ  সম্প্রতি ডানপন্থীদের চাপে পড়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার কথা বলেছিলেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান তথা কৌতুক শিল্পী মুনাওয়ার ফারুকি। 

আবারও প্রকাশ্যে এল বিজেপি শিবসেনা দ্বন্দ্ব (BJP Vs Shiv Sena)। বৃহস্পতিবার বিজেপির মহারাষ্ট্রের আইটি সেলের ইনচার্জ জিতেন গাজরিয়াকে তলব করে  মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।  তাঁর 'অপরাধ', তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মাহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রী রশ্মি ঠাকরের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন 'ইনি মারাঠি রাবড়ি দেবী'। তাতেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। 

তবে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান গাজারিয়াকে পুলিশ তলব করার পরই বিজেপির স্থানীয় নেতাদের নিশানায় পড়তে হয়েছে শিবসেনাকে। শিবসেনাকে ভন্ড বলেও তোপ দেগেছে বিজেপি অনুগামীরা। কারণ  সম্প্রতি ডানপন্থীদের চাপে পড়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার কথা বলেছিলেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান তথা কৌতুক শিল্পী মুনাওয়ার ফারুকি। কিন্তু সেই শিল্পির একাধিক শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে মুম্বইতে। সেখানে শো করছেন তিনি।  মুনাওয়ার ফারুকি একাধিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি দেশের শাসকদল বিজেপিকে নিশানা করেন। তাতেই ডানপন্থীদের কোপে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ সেই একই জিনিস করল শিবসেনা প্রশাসন। কারণ সংশ্লষ্ট দলটি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সমালোচনা সহ্য করতে পারেনি। তাই বিজেপি নেতাকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ। মুনাওয়ার ফারুকির শো-ও লোকদেখানো বলে বিজেপির অভিযোগ। 

বিজেপির মুম্বইয়ের মুখপাত্র বিবেকানন্দ গুপ্ত বলেছেন, গাজারিয়াকে তার বিবৃতি রেকর্ড করার জন্য ডেকে পাঠান হয়েছিল ব্রান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। 

সম্প্রতি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসুস্থ রয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মেরুদণ্ডের অপারেশনের পর থেকেই তিনি ঘরবন্দি। দেখা করেননি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। সেই সময় তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। সময়টাতেই তাঁর অনুপস্থিততে শাসন কাজ সামলাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী রশ্মি ঠাকরে ও তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। তাই চোরাগোপ্তা খেলা বন্ধ করে অবিলম্বেই এদের দুজনের মধ্যে থেকে কাউকে  মহারাষ্টের শাসনভার তুলে দেওয়া উচিৎ। কিন্তু সেনা কর্মী ও এনসিপি এদেপ বিশ্বাস করে না বলেও দাবি করে বিজেপি নেতারা। 

যদিও শিবসেনাও একের পর এক তীর ছুঁড়ে যাচ্ছে বিজেপির দিকে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে চিড় ধরে। ফাটর ধরে দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বে। সেই সুযোগেই শিব সেনা কাছে আসে কংগ্রেসের। 

Dharchula Bridge: ভারত-নেপাল সম্পর্কের উন্নতির আরও একধাপ, তৈরি হবে ধরচুলা ব্রিজ

PM Modi Security Lapse: প্রাক্তন ২৭ IPS-র চিঠি রাষ্ট্রপতিকে, পঞ্জাব সরকারের সমালোচনা

Malvani ISIS Case: আইসিস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ, NIA আদালতে দোষী সাব্যস্ত ২