সংক্ষিপ্ত
- নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীরা ফের আদালতে
- তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ফাইল দিতে দেরি করছে
- এই অভিযোগে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দোষীদের আইনজীবী
- প্রশ্ন উঠেছে, আবার কি তবে ফাঁসি পিছিয়ে যাবে
আবার কি ফাঁসি পিছিয়ে যেতে চলেছে? বৃহস্পতিবার নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীরা আবার আদালতে আবেদন করায় এই প্রশ্নই উঠে এল। প্রসঙ্গত, নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি বারেবারেই পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ আশাদেবী-সহ অনেকেই। অনেকেরই বক্তব্য়, এভাবে বারেবারে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ নিয়ে সময় নষ্ট করছে অপরাধীরা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হবে ওই চারজনের। তারপর অপরাধীদের মধ্য়ে কেউ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানায় যে, অপরাধ ঘটার সময়ে সে নাবালক ছিল। যদিও শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। অন্য়দিকে আরেকজন অপরাধী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করে। ফলে পিছিয়ে যায় ফাঁসির দিন। পরে আবার নতুন দিন ঠিক হয় ১ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে, মৃত্য়ুদণ্ডের বিরোধী হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী তথা মানবাধিকার কর্মী ইন্দিরা জয়সওয়াল অপরাধীদের ক্ষমা করে দিতে অনুরোধ করেন নির্ভয়ার মা আশাদেবীকে। সেখানে তিনি সোনিয়া গান্ধির দৃষ্টান্ত টানেন। প্রসঙ্গত, শুধু সোনিয়া গান্ধিই নন, গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনের স্ত্রী-ও তাঁর স্বামী ও বাচ্চাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো অপরাধে অপরাধীদের ক্ষমা করে দেন।
অপরাধীদের আইনজীবী এদিন আবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনার ফাইল নিয়ে অহেতুক ঢিলেমি করছে। শনিবার মামলাটির শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে স্পষ্টই বলেন, সবকিছুর জন্য় সীমাহীন লড়াই করা যায় না। ফাঁসির সাজা মকুবের জন্য় অনন্তকাল ধরে লড়াই চলতে পারে না। যদিও প্রধান বিচারপতি উত্তরপ্রদেশের একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ পুনর্বিবেচনা প্রসঙ্গে ওই মন্তব্য় করেন, তবে ধরে নেওয়া হয় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্য়স্ত চার অপরাধীদের ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি যথেষ্টই বিরক্ত।