সংক্ষিপ্ত
নীতিশ কুমার আর বিজেপির ঠান্ডা যুদ্ধের মধ্যে সেই প্রশ্নটা ক্রমশই দানা বাঁধছে। এরই মধ্যে সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়ে জনতা দল ইউনাইটেড অর্থাৎ নীতিশ কুমারের দল থেকে পদত্যাগ করলেন আরসিপি সিং।
মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্যে যখন অপারেশন লোটাস সাফল্য পাচ্ছে তখন কি বিহারেই সংকটে পড়তে চলেছে এনডিএ সরকার। নীতিশ কুমার আর বিজেপি ঠান্ডা যুদ্ধের মধ্যে সেই প্রশ্নটা ক্রমশই দানা বাঁধছে। এরই মধ্যে সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়ে জনতা দল ইউনাইটেড অর্থাৎ নীতিশ কুমারের দল থেকে পদত্যাগ করলেন আরসিপি সিং। যা বিহারে জেডিইউ আর বিজেপির মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই আরসিপি সিং এর পদত্যাগ নিয়ে জেডিইউ ও বিজেপির মধ্যে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। জেডিইউ-এর অভিযোগ, বিহারের বিজেপি আরসিপি সিং এর সঙ্গে চক্রান্ত করছে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। শনিবারই পদত্যাগ করেন আরসিপি সিং। কারণ তার আগেই দলের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নোটিশ পাঠান হয়েছিল। তবে দল ছাড়ার পর তিনি অবশ্য জেডিইউকে ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
জেডিইউ জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন (লালন) সিং বলেছেন, “জেডিইউ কোনও ডুবন্ত জাহাজ নয়, এটি একটি পালতোলা জাহাজ, কিছু লোক এটিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। নীতীশ কুমার তাদের চিহ্নিত করেছেন যারা এটির ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং এটি মেরামতের পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন কিছু মানুষ জেডিইউর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। চিরাগ পাসোয়ানের মত আরও একটি মডেল তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যা নীতিশ কুমার বরদাস্ত করবেন না।
তিনি আরও বলেন নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্রই কাজ করবে না। চিরাগ পাসওয়ান মডেলটি ২০২০ সালে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন এটির কোনও কার্যকারিতা নেই। নীতিশ কুমার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অভ্যস্ত। আরসিপি সিং কখনই দলের কোনও লড়াইয়ের অংশ ছিলেন না কিন্তু ক্ষমতার অংশ ছিলেন। এখন যখন তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি ব্যথা অনুভব করছেন। " লালন সিং বলেছেন। লালন সিং আরও জোর দিয়েছিলেন যে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জনতা দল ইউনাইটেড কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।
অন্যদিকে একের পর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে সাক্ষাৎকার এড়িয়ে যাচ্ছেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার। রবিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকেও উপস্থিত হননি তিনি। যা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।