সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নগামী
- ৬ মাসে সবথেকে কম আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড
- ব্রিটেনের স্ট্রেন নিয়ে দেশের টাস্ক ফোর্সের বৈঠক
- চিকিৎসায় প্রোটোকল পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই
ব্রিটেনে সন্ধান পাওয়া নতুন করোনাভাইরাসের স্ট্রেন নিয়ে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, তখনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই কমছে এদেশে। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৬ মাসে সবথেকে কম আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের শংখ্যা ১৮ হাজার ৭৩২। মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা১ কোটি ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৫০। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬২২। সুস্থ হয়ে যাওযার মানুষের সংখ্যা যেখানে ৯৭ লক্ষের বেশি সেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি।
With 18,732 new #COVID19 infections, India's total cases rise to 1,01,87,850
With 279 new deaths, toll mounts to 1,47,622 . Total active cases at 2,78,690
Total discharged cases at 97,61,538 with 21,430 new discharges in the last 24 hours. pic.twitter.com/m7BYvuqf7G
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের যে নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে তার কারণে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসার নিয়ম বিধি পরিবর্তেনের কোনও প্রয়োজন নেই। দীর্ঘ বৈঠকের পর জানিয়েছে কোভিড১৯ টাস্কফোর্সের সদস্যরা। শনিবার এনটিএফএর একটি বৈঠক হয়। সেখানে সার্স কোভ-২ ভাইরাসের পরীক্ষা নিরীক্ষা, প্রমাণ ভিত্তির পরিবর্তন চিকিৎসায় নজরদারী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। চিকিৎসক বিনোর পলের সহ সভাপতিত্বের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেজিক্যাল রিসার্সের পক্ষ থেকে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়। ব্রিটেনে সন্ধান পাওয়া করোনাভাইরাসের মিউট্যান্ট স্ট্রেন নিয়ে আলোচনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। মূলত আলোচনা হয়েছিল আক্রান্ত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা ও ভারতে সংক্রমণ রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিয়ে। স্বাস্থ্য় মন্ত্রক ও এনটিএফ-এর সুপারিশ নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল।
ওই বৈঠকে আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান পরীক্ষা ব্যবস্থাটি কার্যকর থাকলে করোনাভাইরাসের সংক্রমিতের ঘটনাগুলি মিস হওয়ার কোনও রকম সম্ভাবনা নেই। যুক্তরাজ্যের ভেরিয়েন্ট আসএআরএস কোভ-২ স্ট্রেনগুলির প্রাথমিত সনাক্তকরণ ও সংরক্ষণের জন্য বর্ধিত জিনোমিত নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে অন্যন্য ভাইরাসের মত করোনাভাইরাসেরও পরিবর্তন ঘটতে থাকবে। আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব, মাস্কের ব্যবহার, হাত ধোয়া ও স্য়ানিটাইজার ব্যবহার করার মাধ্যমে সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে।