সংক্ষিপ্ত
- কংগ্রেস প্রথম থেকেই সিএএ ২০১৯-এর বিরোধী।
- কিন্তু, কোনও রাজ্যই এই আইন প্রয়োগ অস্বীকার করতে পারবে না বলে মত কপিল সিবালের।
- তাঁকে সমর্থন করছেন সনলমন খুরশিদ-ও।
- কেন এমন বলছেন কংগ্রেস নেতারা?
প্রথম থেকেই কংগ্রেস তীব্রভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ ২০১৯-এর সমালোচনা করেছে। কিন্তু, এবার ভুতের মুখে রাম নাম শোনা গেল। বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিবাল বলেছেন, 'কোনও রাজ্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করতে পারে না, করলে তা অসাংবিধানিক হবে'।
কেরল সাহিত্য উৎসবে যোগ দিয়ে এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, 'সিএএ-র বিরোধিতা করা যেতে পারে, বিধানসভায় এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করা যেতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকারকে আইন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে'। কিন্তু, সাংবিধানিকভাবে এটি বাস্তবায়ন না করলে আরও সমস্যা তৈরি হবে। অসুবিধাগুলি তৈরি হবে। ,"
এই প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজনীতিবিদ ব্যাখ্যা করেছেন, 'কোনও রাজ্য পর্যায়ের কর্মকর্তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে না দেওয়া সম্ভব কিনা সেই সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। তবে সাংবিধানিকভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে এটা বলা খুব কঠিন, যে আমি সংসদে পাস করা আইন প্রয়োগ করব না'। সিব্বলের এই মন্তব্য-কে সমর্থন করেছেন কংগ্রেসের আরেক আইনজীবী নেতা সলমন খুরশিদ-ও।
এই আইনকে সর্বপ্রথম চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল কেরল রাজ্য সরকার। কেরলের বিধানসভায় এই আইনটির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাবও পাস করা হয়েছে। তাদের পদক্ষেপ অনুসরণ করে পঞ্জাব বিধানসভাও গত শুক্রবার এই বিতর্কিত আইন বাতিল করার দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এর এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার সিএএর পাশাপাশি এনআরসি এবং এনপিআর আপডেটের কাজও করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।