সংক্ষিপ্ত
প্রিয়াঙ্কা সাহানি। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। কিন্তু, তাঁর বাড়ি ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায়। এবারের রথযাত্রা অন্যভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
রাত পোহালেই রথযাত্রা। আর তার আগে ১০৮টি জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা আঁকলেন ওড়িশার এক প্রযুক্তিবিদ। তবে শুধুমাত্র খাতা পেন্সিল দিয়েই এঁকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। বাড়িতে নিত্যদিন ব্যবহৃত যাবতীয় জিনিস কেক স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে কাঁঠাল, কমলালেবু, ওরিও বিস্কুটের উপরও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। ছোটো থেকে বড় সব ধরনের জগন্নাথের মূর্তি তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই পুরীতে রথ টানতে পারবেন সেবায়েতরা
আরও পড়ুন- স্নানযাত্রার পর রথযাত্রার আগে কেন ভক্তদের দর্শন দেন না জগন্নাথদেব
প্রিয়াঙ্কা সাহানি। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। কিন্তু, তাঁর বাড়ি ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায়। এবারের রথযাত্রা অন্যভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগেই ঠিক করেছিলেন যে রথযাত্রার আগে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ১০৮টি ছবি আঁকবেন। আর সেই মতোই বিভিন্ন জিনিসের উপর ছবি আঁকেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি কেক স্ট্যান্ড, কাঁঠাল, কমলালেবু, পাতা, ওরিও বিস্কুটের উপর ছবি এঁকেছি। বড়-ছোটো দু'ধরনের ছবিই এঁকেছি। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে।"
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবার রথযাত্রায় তেমন জৌলুস নেই। গতবছরের মতো এবছরও ভক্তদের ছাড়াই রথযাত্রার অনুষ্ঠান পালন করা হবে। রথযাত্রা সম্পন্ন করতে এবার বেশি সতর্ক ওড়িশা সরকার। গতবারের মতো এবারও পুরীতে রথ টানবেন শুধু সেবায়েত ও পূজারিরা। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই রথ টানতে পারবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার থেকে পুরীর মন্দিরের সেবায়েতদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সেবায়েতদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া তাঁদের জন্য করোনা টিকার শংসাপত্রও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রথযাত্রায় অংশ নেবেন ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীতে নিরাপত্তা অত্যন্ত কড়াকড়ি করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার কর্মী নিরাপত্তার জন্য় মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও মোতায়েন থাকবে পুলিশ। ১১ জুলাই রাত আটটা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে পুরীতে। মন্দির চত্বরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। মন্দির লাগোয়া সব হোটেল, বাড়ি সিল করে দেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে। এমনকী, বাড়ির ছাদ বা বারান্দা থেকেও এবার কেউ রথযাত্রা দেখতে পারবেন না।