সংক্ষিপ্ত


বছরের প্রথম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে এই ধরনের নিস্বার্থভাবে কাজ করে চলা মানুষদের সম্পর্কে জানতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন মোদী। আর এবার সেই সব মানুষকে শনাক্ত করে তাঁদের পদ্ম সম্মানে ভূষিত করার কথা ঘোষণা করলেন তিনি।

আমাদের আশপাশে এমন অনেক মানুষ থাকেন যাঁরা প্রতিনিয়ত মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। যাঁদের প্রচারের কোনও প্রয়োজন হয় না। আসলে প্রচার, খ্যাতি কোনওটাই তাঁদের প্রয়োজন নেই। শুধু নিস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। আর তার মাধ্যমেই পান শান্তি। এবার সেই সব মানুষকে চিহ্নিত করার জন্য দেশবাসীর উপর ভার দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনাক্ত করার পর পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে তাঁদের। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে 'পিপিলস পদ্ম'। এই পুরস্কারের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। আজ টুইট করে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীকে টেক্কা, দিল্লি দরবারে এবার জেপি নাড্ডার কাছে হাজির দিলীপ ঘোষ

বছরের প্রথম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে এই ধরনের নিস্বার্থভাবে কাজ করে চলা মানুষদের সম্পর্কে জানতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলেন মোদী। আর এবার সেই সব মানুষকে শনাক্ত করে তাঁদের পদ্ম সম্মানে ভূষিত করার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। টুইটারে মোদী লেখেন, "ভারতে অনেক প্রতিভাশালী মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মাঠে নেমে অনেক ব্যতিক্রমী কাজ করে চলেছেন। অনেক সময় আমারা তাঁদের দেখতে পাই না বা তাঁদের কথা জানতেও পারি না। আপনি কি সেই ধরনের মানুষের কথা জানেন? তাহলে তাঁকে #পিপিলসপদ্ম-র জন্য মনোনীত করতে পারেন। মনোনয়ন পেশ করার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর।" টুইটের সঙ্গে একটি লিঙ্ক পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই লিঙ্কের মাধ্যমেই মনোনয়ন পেশ করতে পারবেন দেশবাসী। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীত বা সুপারিশগুলি কেবল অনলাইনেই পাওয়া যাবে। আর কী কারণে উক্ত ব্যক্তিতে মনোনীত করা হচ্ছে তাও উল্লেখ করতে হবে ওই ফর্মে। 

আরও পড়ুন- তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান, সাহসী অভিযানে ভারতীয়দের উদ্ধার করল বায়ুসেনা

 

 

আরও পড়ুন- ভুয়ো স্কুল সার্টিফিকেট নিয়ে ৯ বছর ভারতে, পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে ধৃত বাংলাদেশি

পদ্ম পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে পদ্ম বিভূষণ, পদ্ম ভূষণ এবং পদ্মশ্রী। দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার এগুলি। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে এই পুস্কারগুলি ঘোষণা করা হয়। আর এবার পদ্ম সম্মান প্রাপকদের শনাক্ত করার কাজ দেশবাসীকেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, চিকিৎসা, সমাজকর্ম, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, সিভিল সার্ভিসের মতো যে কোনও ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষকেই তাঁর স্বতন্ত্র কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হবে।