এই ওমর আবদুল্লাকে চেনা দায়মাথায় চুল নেই বললেই চলে সঙ্গে একমুখ দাড়িকেন্দ্রের বিরুদ্ধে একটা কথাও বললেন নাশুধু বললেন আজকের জমায়েত অপরাধ 

মাথার চুল অনেকটাই কমে এসেছে। পিছনের দিকে যেটুকু রয়েছে সেইটুকুও চোট করে ছাঁটা। মুখ থেকে ঝুলছে প্রায় এক বিঘতের বেশি লম্বা পাকা দাড়ি। মাঝে একটু একটু কাঁচা দাড়ির কালো ছোঁয়া আছে বটে। কিন্তু তাসত্ত্বেও ৮ মাস পর প্রথমবার হরি নিবাস-এর বাইরে আসার পর দেখে চেনার উপায় নেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে। স্বাভাবিকভাবেই হরি নিবাসের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। তাদের সামনে এসে ওমর আবদুল্লা বললেন সকলে মিলে অপরাধ করছেন।

আট মাস পর মুক্তি পেয়ে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেবেন তিনি, এমনটাই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এক দায়িত্বশীল নাগরিক। প্রথমেই তিনি বললেন, ২৩২ দিন তিনি বন্দি ছিলেন। এই সময়ে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। ২৩২ দিন ধরে বন্দি থাকাকালীন তিনি বারবার ভেবেছেন, যেদিন বাইরে আসবেন, সেদিন কি বলবেন। কিন্তু, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সেই আলোচনার নয়।

জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ভেবেছিলেন যেদিন ছাড়া পাবেন, সেদিন জানাবেন ৫ অগাস্টের রাতে কি হয়েছিল। তিনি এক জায়গায় বন্দি ছিলেন। কিন্তু, ভুগতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন স্কুল, বাজার, হোটেল বন্ধ ছিল। সেই সব নিয়ে অনেক কথা বলবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু, এই মুহূর্তে গোটা মানবজাতি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। করোনাভাইরাসের মতো মারাত্মক শত্রুর সঙ্গে লড়ছে। তাই সেসব নিয়ে তিনি কিছুই বলবেন না।

Scroll to load tweet…

তাঁর মুক্তিকে কেন্দ্র করে যে জনসমাগম ও সাংবাদিকদের ভিড় জমেছে, তা সরকারের নির্দেশ বিরোধী বলে জানান জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই ধরণের জমায়েত যাতে আর না হয়, তার জন্য আবেদন করেন তিনি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন জানান তিনি। সেই সঙ্গে মেহবুবা মুফতি-সহ এখনও যেসব রাজনৈতিক নেতারা কাশ্মীরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন, এই বিপর্যয়ের সময়ে তাঁদের পরিবারের লোকজনদের পাশে থাকার জন্য মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকায় ৩জি ও ৪জি মোবাইল পরিষেবাও ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।

এই রোগের প্রাদুর্ভাব দূর হলে তারপরেই তিনি ৩৭০ ধারা বাতিল, ৩৫ক ধারা বাতিল, বা তাঁকে বন্দি করা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। আপাতত, সামাজিকভাবে দূরেই থাকবেন তিনি।

Scroll to load tweet…

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই বাবা-মা'এর সঙ্গে ছবি তুলে জানালেন অনেকদিন পর একসঙ্গে তাঁরা লাঞ্চ করলেন। কী কী খেয়েছেন মননে করতে পারছেন না, কিন্তু এত ভালো খাওয়ার অনেকদিব খাননি। ছবিতে কিন্তু আবদুল্লা পরিবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেননি।