সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে ওমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণ কোভিড ১৯ এর ভয়াবহতা কমিয়ে দিতে পারে। আর সেই কারণেই ওমিক্রমনের হাত ধরেই শেষ হতে পারে মহামারী।
বিটা, গামা, ডেল্টার পর বর্তমানে গোটা বিশ্ব কাঁপছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের (Corona's new strain omicron) ভয়ে। এমনকী আগের সমস্ত ভেরিয়েন্টের থেকেই নয়া ভাইরাস অনেক বেশি সংক্রামক বলেও জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। তাতেই নতুন করে দানা বেঁধেছে আশঙ্কার মেঘ। এদিকে ওমিক্রনের হাত ধরে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে (third wave of Covid) কার্যত নাজেহাল অবস্থা ভারতের। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রোজই আড়াই লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলছে। তবে চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে ওমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণ (widespread infection of omicron) কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা কমিয়ে দিতে পারে। আর সেই কারণেই ওমিক্রমনের হাত ধরেই শেষ হতে পারে মহামারী (End of Pandemic)। বর্তমানে এই তত্ত্ব নিয়ে জোরদার গবেষণা, তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
এদিকে ‘ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স’ এবং ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট’-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন ভারতে কোভিড গ্রাফ ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামতে শুরু করতে পারে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ। ওই সময় থেকে কমতে কমতে মার্চ-এপ্রিল নাগাদ সংক্রমণ একেবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত তাদের। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের সংক্রমণের রেখচিত্র এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের সামগ্রিক সংক্রমণ চিত্রের উপর তুল্যমূল্য বিচার করে তারা এই সমীক্ষার ফলাফল সামনে এনেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন হচ্ছে মার্চ-এপ্রিল নাগাদ যদি সংক্রমণের পারা একেবারেই নেমে যায় তাহলে কী ওই সময়েই চিরদরে বিদায় নেমে করোনা? আংশিক উত্তর মিললেও পুরো উত্তর মেলেনি এখনও।
আরও পড়ুন-ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্য রাস্তায় চোর ধরছে পুলিশ, হতবাক পথচলতি মানুষ, দেখুন Viral Video
এদিকে ওমিক্রন সংক্রমণ থেকেই যে হালকা এবং মৃদু উপসর্গের সৃষ্টি হচ্ছে সেক্ষেত্রে হাসপাতালে পৌঁছানোর কোনও প্রয়োজন পড়ছে না। কোমরবিডিটি না থাকলে রোগী দ্রুত সেরেও উঠছেন। মৃত্যুহারও সেই ভাবে বাড়ছে না। আর এখানেই নতুন আশার আলো দেখছেন সকলে। বিশেষজ্ঞদের মতে একটি ভাইরাসের সঙ্গে থাকতে থাকতে মানুষের শরীরে তার বিপক্ষে লড়বার জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বাড়তে থাকে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। একটা সময় পর সংক্রমণের কারণেই শরীরে সেফটি মলিকিউল বাড়তে থাকে। তারপর আর বিশেষ মানব শরীরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না ভাইরাস। যদিও এই বিষয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন বলে মত সিংহভাগ বিশেষজ্ঞের। এদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ২০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যেমন সংক্রমণের হার বেড়েছে ৬.৭ শতাংশ। যা নিয়ে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।