- Home
- India News
- Knowledge Story: ২৫১ বছর আগে আজকের এই দিনেই খুলেছিল প্রথম ডাকঘর! জেনে নিন পোস্ট অফিসের অজানা ইতিহাস
Knowledge Story: ২৫১ বছর আগে আজকের এই দিনেই খুলেছিল প্রথম ডাকঘর! জেনে নিন পোস্ট অফিসের অজানা ইতিহাস
Knowledge Story: ২৫১ বছর আগে আজকের এই দিনেই খুলেছিল প্রথম ডাকঘর! জেনে নিন পোস্ট অফিসের অজানা ইতিহাস
- FB
- TW
- Linkdin
)
কেন্দ্র সরকার অধীনে কাজ করা ভারতীয় ডাক, অর্থাৎ ইন্ডিয়া পোস্টের জন্য আজকের দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৩১ মার্চের তারিখটি কেবল ভারতীয় ডাকের জন্যই নয় বরং প্রতিটি ভারতীয়ের জন্যও অত্যন্ত অর্থবহ। আসলে, ২৫১ বছর আগে আজকের দিনেই দেশে প্রথম ডাকঘর (GPO) স্থাপিত হয়েছিল। দেশের প্রথম পোস্ট অফিস ৩১ মার্চ, ১৭৭৪ সালে কলকাতায় (কলকাতা) খোলা হয়েছিল।
দেশের দ্বিতীয় পোস্ট অফিস ১ জুন, ১৭৮৬ সালে মাদ্রাজ (চেন্নাই) এবং পরে ১৭৯৪ সালে বোম্বে (মুম্বাই) শহরে খোলা হয়। ভারতে ডাক সেবা শুরু করার জন্য ১৭৬৬ সালে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, যখন রবার্ট ক্লাইভ একটি নিয়মিত ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭৪ সালে পোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠা করেন। উল্লেখ্য যে ওয়ারেন হেস্টিংস, বাঙাল প্রেসিডেন্সির প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন, যিনি ১৭৭২ থেকে ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত এই উচ্চ পদে বিএসআই করেছিলেন।
১৬৭২ সালে মাইসুর আঞ্চে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতীয় ডাক অনুযায়ী, ১২৯৬ সালে আলাউদ্দীন খিলজির শাসনামলে দুই ধরনের ডাক সেবা দেওয়া হত। তখন একটি ব্যক্তির বার্তা অন্য ব্যক্তির কাছে পোঁছানোর জন্য হয় ঘোড়ার ব্যবহার হত বা মানুষ পায়ে হেঁটে বার্তা পোঁছাত। শেরশাহ ১৫৪১ সালে বাংলা এবং সিন্ধের মধ্যে ২০০০ মাইলের দীর্ঘ এলাকায় ঘোড়া ডাক শুরু করেছিলেন। এর পর মাইসুর সম্রাজ্যের ১৪তম সম্রাট, মহারাজা চিক্কা দেবরাজ ওডেয়ার ১৬৭২ সালে ডাক সেবার জন্য মাইসুর আঞ্চে (Mysore Anche) স্থাপন করেন। মহারাজা চিক্কা দেবরাজ ওডেয়ারকে ভারতে ডাক সেবার ভিত্তি হিসেবে দেখা যেতে পারে, কারণ ইংরেজরা সেই ব্যবস্থাকে আপগ্রেড করে সুসংগঠিত ভারতীয় ডাকের সূচনা করেছিলেন।
১৮৭৯ সালে পোস্ট কার্ড এসেছিল। ১৯৭৪ সালে দেশের প্রথম ডাকঘর প্রতিষ্ঠার পর, ১৮৫০ সালে পোস্ট অফিস কমিশন নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপর ১৮৫৪ সালে ডাকঘর আইন XVII আনা হয়েছিল। দেশে ১৮৭৩ সালে প্রথমবারের মতো উঁচু ডাক লিফাফার বিক্রি শুরু হয় এবং এর ৩ বছর পর অর্থাৎ ১৮৭৬ সালে আমাদের দেশ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৮৭৯ সালে পোস্ট কার্ডের সূচনা হয় এবং ১৮৮০ সালে রেলওয়ে দ্বারা ডাক সেবা শুরু হয় এবং একই বছরই মানি অর্ডারও চালু হয়েছিল। আজ আপনি যে পোস্ট অফিসে ব্যাংকিং সেবার সুবিধা নিচ্ছেন, সেই ব্যাংকিং সেবার সূচনা ১৮৮২ সালে হয়েছিল। ১৮৮২ সালে ভারতীয় ডাক সঞ্চয় হিসাব খোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।
১ আগস্ট, ১৯৮৬ এ স্পিড পোস্ট শুরু হয়েছিল। এই বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই যে ভারতীয় ডাক যেখান থেকে তার যাত্রা শুরু করেছিল এবং আজ যেইস্থানে পৌঁছেছে, তা কেবল কল্পনায় আসেনি। ১৮৮৪ সালে ভারতীয় ডাক জীবনের বীমা চালু করেছিল এবং ১৮৮৬ সালে এক-আনা রেভিনিউ স্টাম্পের বিক্রি শুরু হয়েছিল।
১ জুলাই, ১৮৯৮ এ পোস্ট অফিস অ্যাক্ট VI আসে এবং একই বছর ২৫ ডিসেম্বর ইম্পেরিয়াল পেনি পোস্টেজেরও শুরু হয়। যে বছর ভারত ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল, সেই বছর ভারতীয় ডাক ৩টি স্বাধীনতার পোস্টেজ স্টাম্প জারি করেছিল।
সাধারণ ডাক সেবার তুলনায় অত্যন্ত কম সময়ে ডাক পরিষেবা শুরু করার জন্য ১ আগস্ট, ১৯৮৬ এ স্পিড পোস্টের শুরু হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় ডাক তার পরিষেবাগুলোকে ক্রমাগত আপগ্রেড করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ জুন, ২০০৬ এ ePayment পরিষেবাগুলো চালু হয়।
ডাকঘরে ব্যাংকগুলোর থেকে বেশি সুদ পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে ভারতীয় ডাক এখন শুধু ডাক পরিষেবাগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের নাগরিকদের জন্য ব্যাংকের মত সব সুবিধা ও পরিষেবা প্রদান করছে। ভারতীয় ডাক তাদের গ্রাহকদের জন্য সঞ্চয়ী একাউন্ট ছাড়াও পুনরাবৃত্তি জমা (আরডি) একাউন্ট এবং টাইম ডিপোজিট (টিডি) একাউন্ট খোলে।
এ ছাড়াও, ডাকঘর তাদের গ্রাহকদের জন্য কৃষক উন্নয়ন পত্র (কেভিপি) এর মত নানা ধরনের ছোট সঞ্চয়ী প্রকল্প পরিচালনা করে, যেখানে ১১৫ মাসে আপনার টাকা ডাবল হয়ে যায়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে ডাক পরিষেবার জন্য শুরু হওয়া ইন্ডিয়া পোস্ট বর্তমানে তার গ্রাহকদের অনেক সঞ্চয়ী স্কিমে বড় বড় ব্যাংকগুলোর থেকেও বেশি সুদ প্রদান করছে।