সংক্ষিপ্ত
আধা সেনার ক্যান্টিনে হাজার সামগ্রী বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি
তালিকায় রয়েছে চকোলেট থেকে পানীয়
তালিকায় রয়েছে গৃহ সরঞ্জামও
আত্ম নির্ভর ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
কিন্ডার জয়ের মত জনপ্রিয় চকোলেট থেকে নিউট্রিলার মত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সোমবার অর্থাৎ পয়লা জুন থেকে আর পাওয়া যাবে না আধা সেনার ক্যান্টিনে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়েছেন দেশীয় সামগ্রী কেনা ও বিক্রর ওপর। প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তাকে কাজে লাগাতেই এবার থেকে শুধু দেশে উৎপাদিত পণ্যেই বিক্রি হবে আধা সেনার ক্যান্টিনে। আর সেই কারণেই বিক্রির তালিকা থেকে ইতিমধ্যে বাদ পড়েছে প্রায় এক হাজার সামগ্রী। এক সিদ্ধান্ত গোটা দেশের সমস্ত আধা সেনার ক্যান্টিনের পক্ষেই কার্যকর হবে বলে জানান হয়েছে।
বাদ পড়া সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে, নুটেলা, কিন্ডার জয়, টিক ট্যাক, হর্লিক্স, ওটস, ইউরেকা ফোর্বস, টমি হিলফিগার শার্ট এবং অ্যাবিবাস বয়েস স্প্রে। কয়েক কয়েটি ব্র্যান্ডের মাইক্রো ওভেন ও গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই তালিকাভুক্ত রয়েছে স্কেচারস, ফেরেরো সহ বেশ কয়েক সংস্থা থেকে আমদানীকৃত সামগ্রীও।
কেন্দ্রীয় পুলিশ কল্যাণ ভেন্ডার্স সমগ্র পণ্যগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। সেগুলি হল
১- যেসব সামগ্রী পুরোপুরি ভারতে তৈরি
২- যেসব সামগ্রীর কাঁচা মাল আমদানী করা হয় বিদেশ থেকে। কিন্তু সামগ্রী তৈরি হয় দেশের কারখানায়।
৩- যেসব সমগ্রী পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়।
সেসব সংস্থার নিজের তৈরি সামগ্রী সম্বন্ধে বিস্তারিত জানায় না এই মুহূর্তে সেব সংস্থার তৈরি সামগ্রীকে বিক্রির তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারতের গঠনের কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি দেশের তৈরি সামগ্রীকে ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরার দিকেও জোর দিয়েছিলেন। আধা সেনার ক্যান্টিনের কর্তারাও সেই দিকে জোর দিয়ে দেশীয় কারখানা বা সংস্থার বা প্রযুক্তিতে তৈরি সামগ্রী বিক্রির ওপর জোর দিচ্ছেন। আধাসেনার অন্তর্ভুক্ত হল সিএপিএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, এনএসজি এবং অসম রাইফেলস। বছরে প্রায় ২,৮০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করার রেকর্ড রয়েছে আধা সেনার ক্যান্টিনের।