সংক্ষিপ্ত

বিরোধী জোট INDIA রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। ৭০ জন সাংসদের সমর্থনে আনা এই প্রস্তাবে ধনখড়ের উপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পরিণাম কী হবে?

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলির জোট INDIA মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস প্রস্তাব পেশ করেছে। বিরোধীরা ধনখড়ের উপর অধিবেশনে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনেছে। কংগ্রেস নেতা রঞ্জিত রঞ্জন জানিয়েছেন, ৭০ জন সাংসদ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি সদনে আদানি ইস্যুতে হট্টগোল করার কংগ্রেসের কৌশলে একমত নয়। তাদেরও অবিশ্বাস প্রস্তাব সমর্থন করার সম্ভাবনা রয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন বলেছেন, “সভাপতির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস প্রস্তাব আনতে ৫০ জন সাংসদের স্বাক্ষর প্রয়োজন। আমাদের কাছে ৭০ জন সাংসদের স্বাক্ষর আছে। আমরা আশাবাদী যে, আমরা রাজ্যসভার সভাপতির বিরুদ্ধে অবিশ্বাস প্রস্তাব আনতে পারব। এই বিষয়ে কংগ্রেস অন্যান্য দলের সঙ্গ পেয়েছে। সবাই একসাথে আছে। সংসদে যা ঘটছে তা আগে কখনও ঘটেনি।”

সোমবার ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোটের দাবি ওঠে

উল্লেখ্য, সোমবার সদনে হট্টগোলের পর ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোটের দাবি ওঠে। বিজেপি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর উপর জর্জ সোরোস এবং তাঁর ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ নেওয়া মিডিয়া সংস্থার সাথে সম্পর্ক নিয়ে আক্রমণ করে। জে.পি. নড্ডা বলেছিলেন যে সোনিয়া গান্ধী এবং ডেমোক্র্যাটিক লিডার্স ইন এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এই ফাউন্ডেশন স্বাধীন কাশ্মীরের কথা বলেছে। এই সম্পর্ক ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমরা এ নিয়ে আলোচনা চাই।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে নড্ডার এই তীব্র আক্রমণের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সাংসদদের হট্টগোলের কারণে তিনি তাঁর সম্পূর্ণ কথা বলতে পারেননি। এর মধ্যেই সদনের কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়। নড্ডা এবং খড়গেকে সোমবার সন্ধ্যা এবং মঙ্গলবার সকালে সভাপতির সাথে দেখা করার জন্য ডাকা হয়েছিল। এই সংঘাত নিয়ে রাজ্যসভা সভাপতির আচরণের কারণে কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার আহ্বান জানায়।