সংক্ষিপ্ত

তদন্ত সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্যই হল পাকিস্তানের মদতে চলা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সন্দেহজনক লিঙ্কগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করা।

 

পাকিস্তানের মদতে চলা সন্ত্রাসবাদী দল গাজওয়া - ই - হিন্দ মামলায় রবিবার চারটি এই রাজ্যে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস, গুজরাটের গির ও সোমনাথ, উত্তর প্রদেশের আজমগড় ও কেরলের কোঝিকোড়ে তল্লাশি অভিযান চালান হয়েছে।

তদন্ত সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্যই হল পাকিস্তানের মদতে চলা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সন্দেহজনক লিঙ্কগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান করা। আগেই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের লিঙ্ক পাওয়া গেছে। আর সেই কারণে হ্যান্ডেলারদের সঙ্গে কতটা যোগযোগ ছিল তা বিশদে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ ছিল উগ্র ভারতবিরোধী ধারনা প্রচার করার।

গাজওয়া-ই-ইন্দ সন্ত্রাসবাদী মডিউল মামলাটি বিহার থেকেই পরিচালিত হচ্ছিল। অন্য একটি জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ে তদন্ত করতে গিয়েই গাজওয়া-ই-হিন্দের নাম ও সংগঠন সম্পর্কে তথ্য পায় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর তদন্তকারীদের দাবি মডিউলটির সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ স্পষ্ট। ভারতের হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করেছে।

এই মামলাটি প্রথমে তদন্ত করছিল বিহারের পুলিশষ পরবর্তীকালে এটির তদন্তভার এনআইএ-র হাতে চলে যায়। সূত্রের খবর জেইন নামে এক পাকিস্তানি নাগরিকের তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গাজওয়া-ই-হিন্দ এর অ্যাডমিন মার্ঘুব আহমেদ দানিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাইতে এনআইএ বিহার পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব নেয়। ইতিমধ্যেই মার্ঘুব আহমেদ দানিশের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে।

এনআইএ তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্ত মার্ঘুব ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ইয়েমেন সহ একাধিক দেশের অনেক মানুষকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেছিল। সেই ব্যক্তি টেলিগ্রাম ও বিআইপি মেসেঞ্জারের মত অন্যান্য প্ল্যাটফর্মও একাধিক গ্রুপ চালাত। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রচার করত। এনআইএ-এর আরও অভিযোগ, মার্ঘুবের লক্ষ্য হল ভারতে গাজওয়া-ই-হিন্দ প্রতিষ্ঠানের নামে তরুণদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করা। আধিকারিকদের মতে ভারতজুড়েই সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য স্লিপার সেল গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি গ্রুপের সদস্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করা। সেই মামলার তদন্ত চলাচ্ছে এনআইএ। সেই কারণেই এদিনের তল্লাশি অভিযান।