সংক্ষিপ্ত
বোমা হামলা এবং টার্গেট কিলিং - উৎসবের মরসুমে দেশজুড়ে হামলার ছক কষেছিল পাক প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা। ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশ।
দেশজুড়ে বোমা হামলা এবং টার্গেট কিলিং - এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। মঙ্গলবার একটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনা ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী-সহ এই সন্ত্রাসবাদী মডিউলের মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই সন্ত্রাসবাদী মডিউলটি পাকিস্তান রাষ্ট্রেরই সংগঠিত বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে এই বিশেষ সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সদস্যরা।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডিসিপি প্রমোদ কুশওয়া জানান, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু দিল্লি নয়, এই হামলার ছক বানচাল করতে দিল্লি পুলিশকে উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রেও অভিযান চালাতে হয়েছে। অভিযানব অবশ্য এখনও শেষ হয়নি, এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন কুশওয়া। আরও কেউ কেউ এই মজিউলের সঙ্গে যুক্ত তাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্পেশাল সেল জানিয়েছে, সন্দেহভাজনরা সারা দেশে টার্গেট কিলিং এবং বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিল। আগামী বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও হিংসা ছড়ানোর লক্ষ্য ছিল তাদের।
"
টাইমস নাও-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক প্রশিক্ষিত দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীর নাম ওসামা ও জিশান। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের সিপি নীরজ ঠাকুর জানান, তারা দুজন প্রথমে ওমানের রাজদানী মুস্কাটে গিয়েছিল, সেখান থেকে তারা পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেখানে বিস্ফোরক সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে এই দুই জঙ্গি এই বছরই ভারতে প্রবেশ করেছিল। তারপর থেকে তারা স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল। বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে হামলা চালানোর জায়গা অনুসন্ধান করছিল। আসন্ন উৎসবের মরসুমে ভারতের বিভিন্ন শহরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল তারা। তাদের অস্ত্র গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ”ঠাকুর বলেন।
ওই জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল একটি বিশেষ দল গঠন করে। প্রথম মহারাষ্ট্রে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর দিল্লি থেকে দুজনকে। বাকি তিনজন ছিল উত্তরপ্রদেশে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য দিল্লি পুলিশ ইউপি এটিএস-এর সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করেছিল। এই জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তাদের মধ্যে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিসও একজন। হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই জঙ্গিদের কার্যকলাপের অর্থ আসত।