সংক্ষিপ্ত
- ভারত পাকিস্তান টানাপোড়েন চলার মাঝেই বার্তা
- বার্তা এল মনমোহন সিংয়ের জন্য
- ট্যুইট করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- ইমরান খানের বার্তা করোনা আক্রান্ত মনমোহনের জন্য
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আরোগ্য কামনা করে বার্তা এল পাকিস্তান থেকে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে ট্যুইট করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মনমোহন সিং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই কামনা।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা টানাপোড়েন কাটিয়ে পাকিস্তানের এই বার্তা বেশ ইঙ্গিতবাহী। তাহলে কি সুসম্পর্ক বজায় রাখার রাস্তায় হাঁটতে চলেছে ইসলামাবাদ, প্রশ্ন তুলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকেই নতুন করে সংঘর্ষের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়নি দুই দেশকে। এই বার্তা কি তাহলে সম্পর্কের বরফ গলার বার্তা দিচ্ছে, প্রশ্ন থাকছে।
এদিকে, সোমবার হালকা জ্বর ও করোনার কিছু উপসর্গ থাকায়,এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। দিল্লি এইমসের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় ৮৮ বছর বয়েসী এই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে। উল্লেখ্য, মনমোহন সিং মার্চ মাসের চার তারিখে প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ ও তেসরা এপ্রিল করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেন।
এরপরে সোমবারই তাঁর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, দিগ্বীজয় সিং। করোনা আক্রান্ত হন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর। ১৬ই এপ্রিল তাঁদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা হওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে যায়। এর পর থেকেই চরমে ওঠে দুই দেশের বিবাদ। পরপর এয়ার স্টাইক, সীমান্তে হামলা, সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে মর্টার ও শেলিং, গুলি বিনিময়ে উত্তপ্ত থেকে উত্তপ্ততর হতে থাকে দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্ক। আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে ২০১৯ সালের ৫ই অগাষ্ট ভারত যখন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়, তখন।
আরও পড়ুন - কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা, একদিনেই মৃত্যু ৪৬ জনের, আক্রান্ত ১০ হাজার ছুঁইছুঁই
এদিকে, মার্কিন রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের দিক থেকে প্রকৃতপক্ষেই উস্কানি দেওয়া হোক, কিংবা উস্কানি বলে অনুভব করলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারত আগের তুলনায় সামরিক জবাব দিতে বেশি আগ্রহী। এর ফলে বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সামরিক দ্বন্দ্বের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কাশ্মীরে কোনও হিংসাত্মক অশান্তি বা ভারতে কোনও জঙ্গি হামলা থেকেই দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে বলিয়ান হওয়ায় এই ক্ষেত্রে বিপদ বেশি।