কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা, একদিনেই মৃত্যু ৪৬ জনের, আক্রান্ত ১০ হাজার ছুঁইছুঁই
কোভিডে বাংলার অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে একদিনে মৃত ৪৬ জন এবং সংক্রমণ ৯ হাজার ৮১৯ জন। এই পরিস্থিতি রাজ্যে নেই পর্যাপ্ত কোভিড ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন। যা নিয়ে সাহায্য চেয়ে ইতিমধ্য়েই মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা।অপরদিকে, কোভিডে পরিস্থিতি রাজ্যে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড বাড়িয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই করোনার উপসর্গ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এই মর্মে নয়া নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। ওদিকে রাজ্যে এরই মাঝে চলছে ভোট। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের কী কী তথ্য উঠে এসেছে , দেখুন ছবিতে -ছবিতে।
- FB
- TW
- Linkdin
মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা ১৩ জন।
মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণায় ১৫ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১ জন, হাওড়া ২ জন ,হুগলি ২ জন, পুরুলিয়া ১, নদিয়া ১, মুর্শিদাবাদ ১, মালদা ৪ জন এবং দার্জিলিং-কালিংপঙ-জলপাইগুড়িতে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১০,৬৫২ জন। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩,২০১।
মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় করোনার নতুন ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৯ জন থেকে বেড়ে ২২৩৪ জন এবং কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৭,৪৪২ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৬৭৮,১৭২ জন।
করোনার নতুন ঢেউয়ে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত ৮৮৭ থেকে বেড়ে ১৯০২ জন। তবে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এখনও সব জেলাকে পিছনে ফেলে করোনায় প্রথম স্থানে কলকাতা, দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগণা। এদিকে একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৯ হাজার ৮১৯ জন।
মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গেএই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৪৫ হাজার ৩০০ থেকে ৫৮ হাজার ৩৮৬ জন।
মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৮০৫ জন। তাই বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০৯,১৩৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৬৪ শতাংশ থেকে কমে ৮৯.৮২।
এই পরিস্থিতি রাজ্যে নেই পর্যাপ্ত কোভিড ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেন। যা নিয়ে সাহায্য চেয়ে ইতিমধ্য়েই মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা।
অপরদিকে, কোভিডে পরিস্থিতি রাজ্যে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড বাড়িয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই করোনার উপসর্গ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।