সংক্ষিপ্ত

সর্বদলীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনটি প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উত্তর দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

হিংসায় উন্মত্ত বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে কোনও রকমে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Former PM of Bangladesh Sheikh Hasina)। প্রতিবেশী দেশে তৈরি হওয়া অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদলীয় বৈঠক (All party meet)  ডেকেছিল। সেখানেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন। আজ, মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (Jaishankar)কাছে তিনটি প্রশ্ন করেন। যার উত্তর দেন বিদেশমন্ত্রী। 

রাহুল গান্ধীর তিনটি প্রশ্নঃ

সূত্রের খবর এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চান, ঢাকার এই রাজনৈতিক পালাবদলে কেন্দ্রীয় সরার স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী কী কী পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণ করছে। তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে বিদেশী শক্তি বিশেষ করে পাকিস্তান জড়িয়ে রয়েছে কিনা, বা পাকিস্তানের কোনও মদত রয়েছে কিনা। তৃতীয় প্রশ্ন, নতুন দিল্লির কাছে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে আগাম কোনও সতর্কতা বা পূর্বাভাস ছিল কিনা।

সুত্রের খবর তিনটি প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

বিদেশ মন্ত্রীর উত্তরঃ

এস জয়শঙ্কর জানিয়েছে, ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নজর রাখছে। এটি একটি উন্নয়নশীল পরিস্থিতি। কেন্দ্র গোটা ঘটনা বিশ্লেষণ করেই পদক্ষেপ নিচ্ছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের অর্থাৎ বাংলাদেশের ঘটনায় পাকিস্তানের মদত রয়েছে কিনা তার উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, সরাসরি মদত দিতে পারেনি পাকিস্তান। তবে একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক হিংসাত্মক বিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রতিফলিত করতে ক্রমাগত তার সোশ্যাল মিডিয়ায়কে ব্যবহার করেছে। ছবি থেকে মন্তব্য - শেয়ার করেছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের উস্কানি দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করেছিল। তবে এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকেই ভারত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছিল। তাই গোটা ঘটনা বুঝতে তেমন বেশি সময় লাগেনি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।