সংক্ষিপ্ত
ভারত-পাকিস্তান দুটি যুযুধান দেশ পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান করেছে। দুটি তথ্য আদান প্রদান হয়েছে দুটি দেশের মধ্যে। একটি পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কিত তথ্য। অন্যটি হল দুই দেশের বন্দি সম্পর্কিত তথ্য।
নতুন বছেরে প্রথম দিনেই ভারত-পাকিস্তান দুটি যুযুধান দেশ পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান করেছে। দুটি তথ্য আদান প্রদান হয়েছে দুটি দেশের মধ্যে। একটি পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কিত তথ্য। অন্যটি হল দুই দেশের বন্দি সম্পর্কিত তথ্য। ভারতের জেলে কয়জন পাকিস্তানি আটকে রয়েছে আর পাকিস্তানের জেলে কতজন ভারতীয় নাগরিক রয়েছে তারও তথ্য একে অপরের হাতে তুলে দিয়েছে। পারমাণবিক তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি দুটি দেশই পরস্পরের কাথা অঙ্গিকারবদ্ধ যে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা চরমে উঠলেও এগুলি দিয়ে হামলা চালান যাবে না। ১৯৯২ সাল থেকেই এই পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান চলছে দুই দেশের মধ্যে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দানান হয়েছে, এটি বার্ষিক অনুষ্ঠানের অংশ। যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এজাতীয় প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত গয়েছিল ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সেই সময় থেকেই দুই দেশের একে অপরের কাছে পরমাণবিক ইনস্টলেশ ও পারমাণবিক সুবিধেগুলির তালিকা প্রকাশ করে। পরবর্তীকালে ১৯৯১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুসমর্থিক পারমাণবিক ইনস্টলেশন ও সুবিধেগুলির বিরুদ্ধ আক্রমণ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি চুক্তির দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
১৯৯২ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে তালিকা বিনিময় অনুশীলন অব্যাহত রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, চুক্তি অনুসারে পারিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা ও স্থাপনাগুলির তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবার পাররাষ্ট্র মন্ত্রক ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রতিনিধির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাল্টা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও এই বিষয়ে যাবতীয় তছ্য দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমশনের এক প্রতিনিধির হাতে তুলে দিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু ও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই এই আনুষ্ঠানিক তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে।
দ্বিতীয় আদানপ্রদান হওয়া তথ্য হল দুই দেশের জেলে দুই দেশের কতজন নাগরিক বন্দি রয়েছে। এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত তথ্য আদান প্রদান করে দুই দেশ। তারপরই ভারত এই দেশের নাগকির, সেনা কর্মী,মৎসজীবীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এই চুক্তি আদান প্রদানের সময় পাকিস্তানের হাতে ভারত ৬৩১ জনের একটি তালিকা তুলে দিয়েছে। দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের জেলে রয়েছে এই তালিকাভুক্ত নাগরিকরা। নাগরিক ও বেসামরিক বন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবিও জানিয়েছে ভারত।
বিদেশ মন্তক জানিয়েছে ভারতের জেলে ৩৩৯ জন পাকিস্তানি বন্দি রয়েছে। তারা সাধারণ নাগরিক। তবে ৯৫ জন মৎসজীবীও ভারতের জেলে বন্দি রয়েছে। ভারতের তরফে জানান হয়েছে এই দেশে একাধিক জেলে ৫১ পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছে। দ্রুত তাদের মুক্তি দেওয়া হবেয বন্দিদের মুক্তির পর যাতে দ্রুত সুরক্ষা প্রদান করা হয় তারও আদেবন জানান হয়েছে। তবে এবার ৬৫ ও ৭১ সালে যুদ্ধে যেসব নেতা কর্মীা নিখোঁজ হয়েছিল তাদের বিষযটি স্পষ্ট করে জানান জন্য কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অনুমতি চেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
টুইটারে ভুল মানচিত্র দেওয়ায় রাজীব চন্দ্রেশেখরের কোপে হোয়াটঅ্যাপ, কড়া প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
বরুণ গান্ধীকে কি ভারত জোড়ো যাত্রায় স্বাগত জানান হবে? প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাহুল গান্ধী