সংক্ষিপ্ত

  • পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হল একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি
  • যদিও এই খবরে সত্যতা এখনও যাচাই করা হয়নি
  • এই বিষয়ে পাকিস্তান সরকারও কোনও কিছু জানায়নি
  • পুলওয়া সন্ত্রাসের পর থেকেই আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে পাকিস্তানের উপরে

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বন্ধ হল ১১টি জঙ্গি ক্যাম্প। বিশ্বস্ত সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে এই ক্যাম্পগুলি বন্ধ করা হয়েছে। ইমরান খান সরকার এই ক্যাম্পগুলি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন বলেও সূত্রে দাবি করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এই জঙ্গি প্রশিক্ষণের ক্যাম্পগুলি কাজ করছিল। লস্কর, হিজবুল ও জইশ-এর জঙ্গি ক্যাম্প রয়েছে এই তালিকায়। 

গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতি জঙ্গি হামলা হয়। সেই ঘটনায় ৪২ জন জওয়ানের প্রাণ যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জঙ্গি হামলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারতও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের  বালাকোটা বিমান হানায় সন্ত্রাসবাদীদের ক্যাম্প গুড়িয়ে দেয়। তবে এই দাবির পক্ষে ভারত সরকার কোনও ভিডিও ফুটেজ বা প্রমাণ সর্বসমক্ষে নিয়ে আসেনি। পুলওয়ামাকাণ্ডের পরই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন আন্তর্জজাতিক স্তরে পাকিস্তানকে একঘরে করার হুমকি দিয়েছিলেন। 

নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এই জঙ্গি ক্যাম্পগুলি বন্ধ করা নিয়ে অবশ্য পাকিস্তান কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি। তবে, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, জঙ্গি ক্যাম্পগুলি এক্কেবারে বন্ধ হয়নি। সেগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান চেয়ে আলোচনায় বসতে বলেন। কিন্তু সেই আবেদনে বিশেষ আমল দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপরন্তু মলদ্বীপ সফরে গিয়ে নাম না করে সন্ত্রাসসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে তোপ দেগেছিলেন মোদী। এই প্রসঙ্গেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তাহলে কি চাপের মুখে পিছু হটল পাকিস্তান? আর সেই কারণেই কি তরিঘড়ি জঙ্গি ঘাঁটি সরাতে বাধ্য হল পাকিস্তান।