সংক্ষিপ্ত
একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এটি একটি গুরুতর ঘটনা। কখনই এটিকে ছোট করে দেখা ঠিক নয়।
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তিনি বলেছেন, 'ঘটনাটি গুরুতর। তর্কের প্রয়োজন নেই। বিশদ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।' সংসদে হামলার চার দিন পরে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদী। পাশপাশি ঘটনা নিয়ে উদ্ধেগও প্রকাশ করেছেন।
হিন্দি সংবাদপত্র দৈনিক জাগরণকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'এটি একটি গুরুতর ঘটনা। কখনই এটিকে ছোট করে দেখা ঠিক নয়। লোকসভার স্পিকার সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছেন। এর পিছনে কে রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা খুঁজে বার করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ে অযথা তর্কের প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিৎ। ' এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার লোকসভার চেম্বারে কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়ে দুই জন। তাদের হাতে ছিল রঙিন বোমা। তারা ক্যানিস্টার থেকে ধোঁয়া উড়িয়ে দেয় সংসদের নিম্নকক্ষে। সংসদের রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হামলাকারীরা তদন্তকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যে তাদের উদ্দেশিয ছিল মণিপুরের হিংসা, বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ। ধৃত ৬ জনের বিরুদ্ধেই কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও বিরোধীরা এখনও এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে। তারা সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেছে। পাশাপাশি বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে।
তবে গতকাল, শনিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের একটি চিঠি দিয়েছেন। বলেছেন, সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, সাংসদদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও লোকসভা থেকে সাংসদদের বহিষ্কারের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেছেন, 'এটি সত্যি দুর্ভাগ্যজনক, যে কিছু সদস্য ও রাজনৈতিক দল ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ এ ঘটে যাওয়ার ঘটনার পর কিছু সদস্যদের বরখাস্ত করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বরখাস্ত করা হয়েছে সংসদের পবিত্রতা রক্ষা আর শান্তির জন্য।' ওম বিড়লা আরও বলেছেন, যে ভাবে গোটা ঘটনা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা যথেষ্ট অযৌক্তিক। দুটির মধ্যে যোগসূত্র খোঁজা ঠিক নয়। তবে তিনি চিঠি দিয়ে সাংসদের আস্বস্ত করেছেন। বলেছেন, সাংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে। বলেছেন, 'হাউসের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনার গভীর তদন্তের জন্য একটি উত্ত-পর্যায়ের তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে। এই কমিটির রিপোর্ট শীঘ্রই সংসদের দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুনঃ
Rahul Gandi: আবার বিপাকে রাহুল গান্ধী, ৫ বছর পুরনো মামলায় সমন উত্তর প্রদেশের আদালতের