সংক্ষিপ্ত

মুক্তি পেলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি

একবছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছিল

মেহবুবার মুক্তির খবর জানান মেয়ে ইলতিজা

তিনিই মাযের মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে

 

অবশেষে মঙ্গলবার মুক্তি পেলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) প্রধান তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। গত বছর ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করার দিন থেকে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁর মেয়ে ইলতিজা মুফতি মেহবুবা মুফতির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর মায়ের মুক্তির খবর জানান।

ইলতিজা মুফতি বলেন, তাঁর মায়ের 'অবৈধ আটক'এর অবসান ঘটেছে। এই 'কঠিন সময়ে' যাঁরা তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যাঁরা এই সময়ে তাঁদের পাশে ছিলেন তাঁদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতার ঋণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের মুখপাত্র রোহিত কানসাল জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতিকে বাসভবনে আটক রাখা হয়েছিল। এদিন তাঁকে মুক্তি দিয়েছে প্রশাসন।\

তবে মেহবুবা মুফতির মুক্তির পিছনে গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল, তার বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মুফতির মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন তাঁর কন্যা ইলতিজা। সেই মামলার শুনানিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত বলেছিল, মেহবুবা মুফতিকে চিরকালের জন্য আটক করে রাখা যায় না।

মামলার আবেদনে মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা বলেছিলেন, মামুলি অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মা-কে আটকের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রশ্নের কোনও সদুত্তর প্রশাসন দিতে না পারায় মামলটি সেই আদেশ আরও দূর্বল হয়েছে। তারপরও আইনের থ্রুটির সুযোগ নিয়ে আটকের মেয়াদ ক্রমেই বাড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

মেহবুবার অনেক আগেই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের আরও দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লাকে।