সংক্ষিপ্ত

শুনানির শুরুতেই ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “আমরা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটা জনস্বার্থ মামলা।”

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর-মামলা শুরু হওয়ার পরেই রাজ্যের আইনজীবী কিছু বলার জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছে ৫-১০ মিনিট সময় চান। তবে তার অনুমতি মেলেনি। এদিকে, শুনানির শুরুতেই ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “আমরা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটা জনস্বার্থ মামলা।”

এদিকে, আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে ফের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেয় সিবিআই। রিপোর্ট পড়ে দেখেন তিন বিচারপতি। সিবিআই আধিকারিক সত্যজিৎ সিংহ তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্ট পড়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, “সিবিআইয়ের তদন্ত ঘুমিয়ে যায়নি। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কি না, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট-সহ পুরো বিষয়টি রিপোর্টে বলা হয়েছে।

সিবিআই রিপোর্টে যা দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগের বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। রিপোর্ট পড়ে তাঁরা বিচলিত বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন অকুস্থলে কারা ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে পারবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। একই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থাকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।