সংক্ষিপ্ত
আজ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে দেশবাসী। টানা ৩৫ দিন পর কমল পেট্রলের দাম। কলকাতা সহ দেশের চার মহানগরীতে অবশেষে স্বস্তা কালো সোনা। পাল্লা দিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার দাম কমল ডিজেলেরও।
কয়েকদিন আগেও হু হু করে বাড়ছিল পেট্রল ও ডিজেলের দাম। দেশের একাধিক রাজ্যেই সেঞ্চুরি পার করে গিয়েছিল পেট্রল। দু-একদিন অন্তর ওভাবে পেট্রলের দাম বাড়তে থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এদিকে তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছিল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপরেও। তবে আজ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে দেশবাসী। টানা ৩৫ দিন পর কমল পেট্রলের দাম। কলকাতা সহ দেশের চার মহানগরীতে অবশেষে স্বস্তা কালো সোনা। পাল্লা দিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার দাম কমল ডিজেলেরও।
আরও পড়ুন- ভারতে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন আফগান সাংসদরা, ধন্যবাদ মোদীকে
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পেট্রলের দাম কোন শহরে কত...
- ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম ২০ পয়সা কমেছে। এর ফলে আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৬৪ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৮৯ টাকা ৭ পয়সা।
- কলকাতায় পেট্রলের দাম কমেছে ১৫ পয়সা। আর ডিজেলের দাম কমেছে ১৯ পয়সা। এর ফলে আজ কলকাতায় পেট্রলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৯৩ পয়সা ও ডিজেলের দাম ৯২ টাকা ১৩ পয়সা।
- দেশের মেট্রো শহরগুলির মধ্যে সবার আগে পেট্রলের দামের নিরিখে সেঞ্চুরি করেছিল মহারাষ্ট্র। ২৯ মে সেখানে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ১০০ ছাড়িয়েছিল। আজ সেখানেও পেট্রলের দাম ১৭ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা ৬৬ পয়সা। ২০ পয়সা কমেছে ডিজেলের দাম। আজ সেখানে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৪ পয়সা।
- চেন্নাই শহরে আজ লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ১৫ পয়সা কমেছে। এর ফলে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩২ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ১৮ পয়সা কমেছে। এর ফলে আজ দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৬৬ পয়সা।
আরও পড়ুন- মুখে 'ভারত মাতা কি জয়', আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরলেন ৮৭ ভারতীয়
আরও পড়ুন- জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৫০ জন ভারতীয়কে বিমানবন্দরে ছাড়ল তালিবান, নিরাপদে সবাই
দেশে জ্বালানি তেলের বাজার বহুদিন ধরেই বেড়ে চলেছিল। নাভিশ্বাস উঠছিল পরিবহন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিরোধীরা। মোদী সরকারের গাফলতিরে জেরেই মূল্যবৃদ্ধি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকেই। সম্প্রতি তেলের দামবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা। আর ওই প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারান তিনি। বলেছিলেন, "সস্তায় পেট্রল চাইলে আফগানিস্তানে চলে যাওয়াই ভাল।" আর তাঁর এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক।