সংক্ষিপ্ত
- পুনর্বাসন কবে হবে জানা নেই।
- ৪০ শতাংশ জায়গায় পানীয় জলের সংযোগ এলেও এখনও আসেনি বিদ্যুৎ।
- তবুও আশা জোগাচ্ছে ওড়িশা পুলিশ
এক ধাক্কায় চলে গিয়েছে ৩৭ টি তাজা প্রাণ। ত্রাণশিবিরে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। উপড়ে গিয়েছে হাজার হাজার গাছ। পুনর্বাসন কবে হবে জানা নেই। ৪০ শতাংশ জায়গায় পানীয় জলের সংযোগ এলেও এখনও আসেনি বিদ্যুৎ। শুক্রবার ফণীর পরে পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। তার পরেও ওড়িশারর সামগ্রিক চিত্রটি এই রকমই। এইরকম জীবন-মৃত্যুর ছক্কাপাঞ্জায় মানুষ একদিকে যখন প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ তখনই ধরা পড়ছে একটি উল্টো ছবি। গোটা পরিস্থিতিতে ওড়িশা পুলিশের নাওয়াখাওয়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়াকে কুর্ণিশ করছে গোটা দেশ, সোশ্যাল মিডিয়া উপচে পড়ছে প্রশংসায়।
ফণীর ছোবল যখন তছনছ চালাচ্ছে গোটা ওড়িশায়, তখন নিজেদের মানবিক মুখটি সফল ভাবে তুলে ধরতে পেরেছে। তারই প্রশংসায় পঞ্চমুক নেটদুনিয়া। সময়ে সময়ে ওড়িশা পুলিশের কাজের ফিরিস্তি উঠে এসেছে তাঁদের নিজস্ব টুইটারে। তারপরে সেই বীরগাথা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
একটি টুইটারে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রাপাড়ার তালচুহা থানার একজন মহিলা পুলিশ নিজের বাইকে লিফট দিচ্ছে গ্রামের বয়স্ক মহিলাদের। মাথার উপর একশো আশি কিলোমিটার বেগে ঝড়ের ফাঁড়া, তাকে উপেক্ষা করে একজন সৎ নির্ভীক অফিসারের এই অবদানকে স্যালুট জানিয়েছে সকলে। ওড়িশা পুলিশের তরফে এই টুইটারে লেখা হয়েছে. আমরা সকল ওড়িশাবাসীকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
গঞ্জাম শহরের একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বয়স্ক মহিলাকে প্রায় পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন এক মহিলা পুলিশ।
প্রকৃতির সঙ্গে সব হারিয়ে যখন জীবনের জন্যে মাটি কামড়ে লড়ছে মানুষ, ত্রাণের চাল, পানীয় জল, বিদ্যুৎ নিয়ে যখন প্রতিদিন অভিযোগ বাড়ছে , তখন মানুষকে আবার নতুন শুরুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওড়িশা পুলিশ।