সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস
  •  এবারের থিম 'সুস্থতার জন্য যোগ ব্যায়াম'
  • আজ বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
  • যোগ অ্যাপ 'এম যোগা' লঞ্চ করার কথা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ২০১৫ সালে এই অনুষ্ঠান প্রথমবার পালন করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এই দিবস পালন করা হচ্ছে। এবারের থিম 'সুস্থতার জন্য যোগ ব্যায়াম'। আর এই বিশেষ দিনেই বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় যোগ অ্যাপ 'এম যোগা' লঞ্চ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে 'এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য'-র উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন- চিনকে চমকে বিতর্কিত প্যাংগং লেকে যোগ দিবস পালন আইটিবিপির, দেখুন হাড় কাঁপানো সেই ভিডিও

এই অ্যাপের মধ্যে বিভিন্ন ভাষায় যোগাভ্যাসের বিস্তারিত তথ্য থাকবে। একাধিক প্রশিক্ষক সেখানে যোগাসন শেখাবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এই অ্যাপকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। এম-যোগা অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের দরবারে যোগাসনকে পৌঁছে দিতে এই অ্যাপে বিভিন্ন ভাষায় যোগা প্রশিক্ষণের ভিডিও থাকবে। এই অ্যাপ এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্যের লক্ষ্যকে পূরণ করবে।"

সপ্তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসবে বার্তা দেওয়ার সময় করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যোগার গুরুত্বর কথা উল্লেখ করেন মোদী। বলেন, "করোনার বিরুদ্ধে যখন কোনও দেশ তৈরি ছিল না, তখন আমাদের দেশে যোগ মানুষের মনে শক্তি যুগিয়েছে। যোগ যে শুধু শারীরিক সুস্থতা বাড়ায়, এমন নয়। এটি মানসিক সাস্থ্যের খেয়াল রাখে। আজ যখন গোটা বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন যোগব্যায়াম একটি আশার আলো হয়ে উঠে এসেছে। দু'বছর ধরে ভারত বা বিশ্বের কোথাও কোনও বড় সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু, যোগাসনের প্রতি মানুষের উৎসাহ একটুও কমেনি।" 

আরও পড়ুন- 'কোভিড পরিস্থিতিতে আশার আলো যোগচর্চা',আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে শুভেচ্ছা বার্তা মোদীর

চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এখন ওষুধের থেকে বেশি যোগার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এখন যোগার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরাও আজ রোগীদের সুস্থ করতে যোগব্যায়ামের পরামর্শ দিচ্ছেন। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সরা অনুলোম বিলোম শেখাচ্ছেন, এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। বিশ্বমানের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ধরনের অনুশীলনগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে আরও ভাল করে তোলে।" সব শেষে প্রতিটি দেশের, প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের সুস্থতার কামনা করেছেন তিনি।