সংক্ষিপ্ত

  • সরছে না লাক্ষাদ্বীপের আইনী এক্তিয়ার 
  • কেরালা হাইকোর্টেই থাকছে লাক্ষাদ্বীপের আইনী এক্তিয়ার
  • সরানো হচ্ছে না কর্ণাটক হাইকোর্টে
  • জানিয়ে দিল লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসন

কেরালা হাইকোর্ট (Kerala High Court) থেকে কর্ণাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court) সরছে না লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) আইনী এক্তিয়ার (legal jurisdiction)। এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। এমনই দাবি লাক্ষাদ্বীপের কালেক্টর এস আসকর আলির। এক বিবৃতি প্রকাশ করে আলি জানান, লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসন এমন কোনও তথ্য সামনে আনেনি, যেখানে বলা হয়েছে লাক্ষাদ্বীপের জুরিসডিকশনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তাই এই জাতীয় সব তথ্য ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। 

দিন কয়েক আগেই কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল যে লাক্ষাদ্বীপের আইনী এক্তিয়ার স্থানান্তর করা হতে পারে। বর্তমানে কেরালা হাইকোর্ট এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আইনী যাবতীয় সমস্যা দেখাশোনা করে। সেখানে কর্ণাটক হাইকোর্টের নাম উঠে আসে, বলা হয়, কেরালা হাইকোর্টের থেকে এই ক্ষমতা চলে যাচ্ছে কর্ণাটক হাইকোর্টের হাতে। লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসনের কিছু বিভ্রান্তকর নীতির প্রতিবাদে মানুষের প্রবল বিক্ষোভকে সামনে রেখেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

 

তবে এই অনুমান যে সত্যি নয়, তা এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই দ্বীপের প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল গুজরাতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রফুল প্যাটেলকে। আর তারপর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন নতুন প্রশাসক। এবার এক কয়েক দফা বিষয় নিয়ে নতুন সংস্কার আনতে চান তিনি। স্থানীয়রা যাকে বলে 'জনবিরোধী'।

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। অমিত শাহ জানান, যে সব নিয়ম নতুন করে নিয়ে আসতে চলেছে প্রফুল প্যাটেল, তা বলবৎ এখনই করা যাবে না, কারণ মানুষ এই নিয়মের বিরোধিতা করছেন। মানুষকে বুঝিয়ে নিজেদের পক্ষে আনতে পারলে, তবেই এই নিয়ম লাক্ষাদ্বীপে জারি করা হবে। সূত্রের খবর দলীয় নেতৃত্ব নতুন নিয়ম বলবৎ করার বিষয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। এই ইস্যুতে লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি বিরোধী হাওয়া প্রশমন করতে আসরে নেমেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।