সংক্ষিপ্ত

মোদী বলেন ২০১৪ সালের আগে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর পাওয়া টাকার কোনো হিসাব ছিল না। এটা আমার সরকারের জন্য একটা ধাক্কা বলে তাই মনে করি না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আজ যারা এই নিয়ে নাচছেন তারা পরে আফসোস করবেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প প্রত্যাখ্যান নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চান না। এক সাক্ষাতকারে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথম নির্বাচনী বন্ড বিতর্কে মুখ খুললেন মোদী। সাক্ষাত্কারে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। আদালতের এই স্কিমের প্রত্যাখ্যানকে সরকারের জন্য আঘাত বলে মনে করা উচিত কিনা জানতে চাওয়া হলে, মোদী বলেন ২০১৪ সালের আগে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর পাওয়া টাকার কোনো হিসাব ছিল না। এটা আমার সরকারের জন্য একটা ধাক্কা বলে তাই মনে করি না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আজ যারা এই নিয়ে নাচছেন তারা পরে আফসোস করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সেই সব পণ্ডিতদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, ২০১৪ সালের আগে যতগুলো নির্বাচনে টাকা খরচ হয়েছে, তাহলে টাকা কোথা থেকে এলো, কোথায় গেল বলতে পারবে কোন সংস্থা? মোদী ইলেক্টোরাল বন্ড তৈরি করেছিলেন, যার কারণে আজ আপনি জানতে পারবেন কে বন্ড নিয়েছিল এবং কাকে দিয়েছিল। এ কারণে টাকার উৎস জানা যাচ্ছে। কোন সিস্টেমই নিখুঁত নয়, ত্রুটি থাকতে পারে তবে সেগুলি সংশোধন করা যেতে পারে।

নির্বাচনী বন্ড কি?

ইলেক্টোরাল বন্ড হল এক ধরনের প্রমিসরি নোট। এটি ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্বাচিত শাখাগুলিতে যে কোনও ভারতীয় নাগরিক বা সংস্থা ক্রয় করতে পারে৷ এই বন্ডটি নাগরিক বা কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য তাদের পছন্দের যে কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেওয়ার একটি মাধ্যম।

নির্বাচনী বন্ড কখন চালু হয়?

আর্থিক বিল (২০১৭) সঙ্গে নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮-এ, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিম ২০১৮-কে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। সেই দিন থেকেই শুরু হয়।

নির্বাচনী বন্ড থেকে রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে লাভবান হয়েছিল?

যেকোন ভারতীয় নাগরিক, কর্পোরেট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী বন্ড কিনতে পারে এবং রাজনৈতিক দলগুলি এই বন্ডগুলিকে ব্যাঙ্কে নগদ করে টাকা পেতে পারে। ব্যাঙ্কগুলি কেবলমাত্র সেই গ্রাহকদের কাছেই নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করত যাদের কেওয়াইসি যাচাই করা হয়েছিল। বন্ডে দাতার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।