বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৭৫।

দেশের কোভিড-১৯ (COVID-19) পরিস্থিতি ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এই বৈঠকে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ও উচ্চ পদস্থ আমলারা। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছেন। তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় তিনি দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে রীতিমত জোর দিয়েছিলেন। 

বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৭৫। তবে মঙ্গলবারের তুলনায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪.২৯.৭৫.৮৮৩। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪৬,৯৬২। যা গতকালের তুলনা কমে হয়েছে ২৯৮৬ জন। আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৫, ১৫, ৩৫৫। 

Scroll to load tweet…

এই অবস্থাতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট টি জ্যাকব। তিনি বলেছেন ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শেষ হচেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিডএর অন্য কোনও রূপ দেখা যায়নি। তাতেই আশা করা যায় এই দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়বে না। জ্যাকব আরও বলেন দেশটি মহামারির শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে। আর এই দেশে চতুর্থ তরঙ্গের কোনো হুমকি নেই। 

জ্যাকব আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই দেশে করোনাভাইরাস স্থানীয় একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আক্রান্ত ও দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় এই সংখ্যা আগামী চার সপ্তাহ ধরে সামান্য ওঠানামা করবে। তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই। আগামী চার সপ্তাহ এটি এই দেশে মহামারির পর্যায়ে থাকবে। ভারতের সমস্ত রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড কখনই পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না। এটি ছোটখাটো রোগে পরিণত হবে। মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব ঘটবে। তবে তিনি এখনও রোগের ওপর নজরদারি ও জিন সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কোনও মিউটেশন সনাক্ত করার জন্য এটি জরুরি।