সংক্ষিপ্ত
লন্ডনে রাহুল গান্ধীর গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন দেশের গণতন্ত্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে কিছু মানুষ।
অবশেষে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করেল ব্রিটেন সংসদ একাধিক জায়গায় দেশের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিটেনের সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলেন দেশের গণতন্ত্র প্রবল সংকটের মধ্যে রয়েছে। রাহুলের এই মন্তব্যের পরই গোটা দেশে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছিল । বিজেপির ছোটবড় নেতারা একের পর নিশানা করেছিলেন রাহুল গান্ধীকে। কিন্তু সেই সময় নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কর্ণাটক সফরে হুবলি ধারওয়াদে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নাম না করেই রাহুলকে আক্রমণ করেন মোদী।
মোদীর মন্তব্যঃ
এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'ভারত শুধুমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রই নয়, এই দেশ গণতন্ত্রের জননী। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে লন্ডনে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিছু মানুষ ক্রমাগত দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ ইচ্ছেমত দেশের গণতন্ত্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।' এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারতের গণতন্ত্রের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা হয়েছে। তিনি আরও বলেন লন্ডনে তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে তিনিও একাধিক মূর্তির উন্মোচন করেন। কিন্তু সেই লন্ডনে দাঁড়িয়ে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মোদী এদিন বলেন, ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাস দীর্ঘ পুরনো। তাই এটি আঘাত করলেও কিছু হবে। তবে এজাতীয় মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার শ্রী সিদ্ধরুদ্ধা স্বামীজি হুবলি স্টেশনে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন। এটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৫০৭ মিটার। তিনি কয়েক কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যারমধ্যে অন্যতম হল হসপেট রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন। এটি পুননির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে কর্ণাটকের সপ্তম আশ্চার্যের এক আশ্চার্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে হাম্পি। প্রাচীন এই সভ্যতার কিছু নিদর্শন রয়েছে হসপেট স্টেশনে। কর্মকর্তাদের কথায় যা আকর্ষণ করবে পর্যটকদের।
হসপ্টের রেলওয়ে স্টেশনটি আধুনিকভাবে পুননির্মাণ করা হয়েছে। এই স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধের জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জাংশন স্টেশনটি হাম্পি স্মৃতিসম্ভের আদলে ডিজাইন করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের কথায় এই রেলস্টেশন যাত্রীদের বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র হবে। হসপেট থেকে হাম্পির দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। ট্রেনের পর্যটকরা এই হাম্পি যাওয়ার জন্য এই রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবহার করতেই পারেন।