সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রোবোটিক্স গ্যালারি পরিদর্শন করেন। সেখানে একটি রোবটের পরিবেশন করা চাও পান করেন তিনি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের আমেদাবাদের সায়েন্স সিটি পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ও রোবোটিক্স নিয়ে রাজ্যের গবেষণা ও অনুসন্ধান তিনি পরখ করে দেখেন। এদিন মোদীর সঙ্গে এদিন আমেদাবাদ সায়েন্স সিটি পরিদর্শন করেন গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত , মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এই সফরের মাধ্যমে গুজরাট সরকার ভাইব্রেন্ট গুজরাট প্রকল্পের সাফল্যের দিকটাও তুলে ধরেছে। চলতি বছর ভাইব্রেন্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিটের ২০তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
এই ইভেন্টটি অত্যান্ত তারপর্যপূর্ণ। কারণ এটি ভাইব্রেন্ট গুজরাট সামিটের বিশ বছরের পরিসমাপ্তিতে তুলে ধরছে। এটি একটি ফ্ল্যাগশিপ সমাবেশ যা গুজরাটের অর্থনৈতিক পরিবেশ ও গঠনে ও আন্তর্জাতিক সহযোহিতাকে তুলে ধরতে সাহায়ক ভূমিকা পালন করছে। সয়েন্স সিটিতে বোরট প্রদর্শনীটির মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি , অটোমেশন নিয়ে নানা ধরনের কাজকর্মও তুলে ধরা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে হাতেই পরখ করে দেখেছেন। বলা ভাল গোটা বিষয়টাই নিয়ে হাতে কলমে পরখ করে দেখেছেন। পাশাপাশি জটিল প্রযুক্তির বিষয়গুলি বিজ্ঞানী বা গবেষকদের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ারও চেষ্টা করেছেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রোবোটিক্স গ্যালারি পরিদর্শনের সময় শুধু যে দর্শক ছিলেন তা নয়, তিনি রোবটের হাতে পরিবেশন করা চাও খেয়েছেন। একটি রোবট তাঁকে এক কাপ চা পরিবেশন করে। সায়েন্স সিটি সফরের শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, 'গুজরাট সায়েন্স সিটিতে আকর্ষণীয় একাধিক জিনিস দেখে তিনি সকালটা খুব উপভোগ করেছেন। বোরটিক্স গ্যালারি দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে। যেখানে রোবোটিক্সের অপার সম্ভাবনা উজ্জ্বলভাবে দেখানো হয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলি কীভাবে যুবকদের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়ে তুলে পারে দেখা দেখে আমি আনন্দিত।' রোবোটিক্স গ্যালারিতে ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- ডেভেলপড রোবট , মাইক্রোবট ও কৃষি রোবট রয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাইব্রেন্ট গুজরাট সামিটেও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ভারত দ্রুত বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে। বিশ বছর আগে যে ছোট বীজ বপন করা হয়েছিল তা আজ বড় গাছে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা রাজ্যটিকে ভারতের একটি বৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে গড়ে তুলতে ভাইব্রেন্ট গুজরাট আয়োজন করেছি। ২০১৪ সালের পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল ভারতকে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির ইঞ্জিনে পরিণত করা।'