সংক্ষিপ্ত

স্বীকৃতি দিবসে তিন রাজ্যের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। 

১৯৭১ সালের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল (পুনর্গঠন) আইন (North-Eastern Areas (Re-organisation) Act) অনুসারে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা (Statehood Day) দেওয়া হয়েছিল দেশের তিন রাজ্যকে। ১৯৭২ সালের আজকের দিনে মেঘালয় (Meghalaya), ত্রিপুরা (Tripura) ও মণিপুরকে (Manipur) রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আর এই স্বীকৃতি দিবসে তিন রাজ্যের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। 

টুইটারে এই তিন রাজ্যের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি লেখেন, "মণিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরাবাসীকে স্বীকৃতি দিবসের অনেক শুভেচ্ছা। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই রাজ্যগুলি আমাদের উত্তর-পূর্বের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং অনন্য ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এই রাজ্যগুলির নাগরিকরদের জীবন সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক এই কামনাই করি।"

 

আরও পড়ুন- নিভবে না 'Amar Jawan Jyoti'-র আগুন, অগ্নিশিখা মিশবে ওয়ার মেমোরিয়ালের সঙ্গে

এই তিন রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে মোদী টুইটারে লেখেন, "মণিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরাবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা। আজকের দিনেই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল এই তিন রাজ্য। দেশের উন্নয়নে এই তিন রাজ্যের অবদান অনেক। রাজ্যগুলির উন্নতি কামনা করছি।"     

 

আরও পড়ুন- সাধারণ ২ কামরার ফ্ল্যাট, সাদামাটা মধ্যবিত্তের মতোই দিন গুজরান করেন রতন টাটার ভাই জিমি টাটা

স্বীকৃতি দিবসে ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি লেখেন, "৫০ তম ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য দিবসে ত্রিপুরাবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । মা ত্রিপুরা সুন্দরীর এই সুন্দর ও পূণ্য ভূমি অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলুক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জির নেতৃত্বে আমাদের সরকার ত্রিপুরার সর্বাত্মক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" আজ এই উপলক্ষ্যে ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন তিনি। 

 

 

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে গণমুক্তি আন্দোলনের ফলে ত্রিপুরা অসম রাজ্যের অংশ হিসেবে ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের ফলে ত্রিপুরার জনসংখ্যা পরিবর্তিত হয়েছিল। এরপর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আগত বাঙালি শরণার্থীরাই ত্রিপুরার জনসংখ্যার গরিষ্ঠ অংশ হয়ে ওঠে। ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালে ত্রিপুরা একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত হয় এবং ২১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়।

আরও পড়ুন-আট দিনে মোদীকে দুটো চিঠি মমতার, কেন্দ্রের IAS ক্যাডার সংশোধনে আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর

১৯৪৭ সালে মণিপুর স্বাধীন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। পার্শ্ববর্তী বার্মার (মায়ানমার) আগ্রাসী মনোভাবে ১৯৪৯ সালে রাজা বোধচন্দ্র সিং ভারত অন্তর্ভুক্তির সম্মতিপত্রে সই করেন। ১৯৫৬ সালে এটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। এরপর ১৯৭২ সালে তা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল।